This site is sutting down by sudip. we are parked in new website. You can join us

www.SMsudipBD.Com



Wapkiz Code Love Story Life Story Funy Topic All Poem Covid 19 Exam Topic GP Offer BL Offer Robi Offer Help Desk সাইটম্যাপ ফেসবুক পেইজ আমাদের সম্পর্কে ডিসক্লেইমার গোপনীয়তা নীতিমালা
Unknown NameNo Comment


সাইটম্যাপ ফেসবুক পেইজ আমাদের সম্পর্কে ডিসক্লেইমার গোপনীয়তা নীতিমালা
Login Sing up সাইটম্যাপ ফেসবুক পেইজ আমাদের সম্পর্কে ডিসক্লেইমার গোপনীয়তা নীতিমালা
Download site Forum site Blog site SMS categories Live All FM Channel Live All Tv Channel সাইটম্যাপ ফেসবুক পেইজ আমাদের সম্পর্কে ডিসক্লেইমার গোপনীয়তা নীতিমালা
আজ । আপনাকে স্বাগতম।This site is sutting down by sudip. we are parked in new website. You can join us SMsudipBD.Com/ Unknown Name The 2 Highest Paying In-Demand Jobs in Canada for 2020 wapkiz stylish Profile codes v1 গল্প : অভিযোগ - Life Story [ Bngla kobita] "টাকার বড়াই" [ Updated ] New Feature Added. Online Live FM Radio Channel Streaming Now. [ Updated ] New Feature Added. Online Live Tv Channel Streaming Now. [ঈদ স্পেশাল] গল্পের নামঃ অপরিচিত ভালোবাসা [ sad story ] উপহাসের পৃথিবী ★★....আপন মানুষ....★★

গল্প : অভিযোগ - Life Story

লেখক: SMsudipBD

About 2020s ago

গল্প : অভিযোগ 
ধর্ষনের অভিযোগে নিজের খালাতো বোনকে বিয়ে করতে হল আজ
" নিজেকে আজ জলজ্যান্ত মমী মনে হচ্ছে, আমি কখনো তিহানাকে বোন ব্যাতীত অন্য চোখে দেখি নাই, তিহানা হল সদ্য বিবাহিত স্ত্রী মানে আমার খালাতো বোন সে আজ সবার সামনে অভিযোগ তুলে আমি নাকি জোর করে তার সাথে ফিজিক্যাল সম্পর্ক করি ছোট থেকে আমাদের বাসায় থাকে তিহানা আমি আর আমার বাবা মা তার কোন আবদার কখনো অপূর্ণ রাখি নাই তিহানার মনে কি চলছে জানি না তবে আমার মনে যা চলছে এর জন্য তিহানা তিলেতিলে মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করবে!
,,

wapkiz.com
এমন সময় ফোন আসলো রিদিতার,
রিদিতা আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ত সে আদুরে স্বরে কথা বলার জন্য এখন পায়চারী করছে কিন্ত এই মোবাইল নামক যন্ত্রটা আমার কাছে একদম অসহ্য লাগছে এই মূহর্তে, তারা ভরা আকাশ আজ ঝকঝক করে হাসছে রিদিতার ধৈর্যের কাছে আমার বিরক্ত মাথা নত করে দিলো।
শেষ অবধি ফোন রিসিভ করতেই হল,
আমার কোনে কথা না শুনে রিদিতা বলতে লাগলো রাফি গুড নিউজ আছে একটা ''বাবা আমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে''আমি তার কথা শুনে চুপসে রইলাম!
-রিদিতা বলল রাফি চুপ করে আছো কেন? তুমি খুশি হওনি? একবারে বলল রিদিতা
.
" ভাল লাগছে না আমার এই বলে ফোন কেটে দিলাম, জানি মেয়েটা এখন কেঁদে চোখ ভেজাবে কিন্তু তার সাথে কথা বলার মত শক্তি আমার নেই এই মূহর্তে '!
_ কিরে!..তোর বাসর ঘর ফেলে এখানে কি?
_ কন্ঠ শুনে বুঝে গিয়েছিলাম আম্মু!
না মা কিছু না! আমি বললাম
_ যা বৌ মা একা একা বসে আছে!
.
নিজের শরীরটক যেনো কচ্ছপের চেয়ে ও ধীর গতিতে চলছে কি থেকে কি হয়ে গেলো। কোথায় গেলো আমার এত দিনের স্বপ্ন। কোথায় বা হারিয়ে গেল আমার পুরুষত্ব আজ নিজের কাছে নিজেই হেরে গেলাম বিনা যুদ্ধে। পরাজিত সৈনিকের মত হার মেনে নিলাম আমি। উহু! মেনে নেই নি মানতে বাধ্য হয়েছি আর এর জন্য দায়ী তিহানা!
বাসরঘরে ডুকে দেখি নববধূ সেজে বসে আছে তিহানা!
.
আমি সুফায় গিয়ে মাথা নিচু করে বসে আছি
--এমন সময় তিহানা এসে বলল রাফি আসছো....
ঠাশ করে বসিয়ে দিলাম। তিহানার গালে আর বললাম না,
.
চুপ লোভী তোর কি দরকার ছিল টাকা না অন্য কিছু, বল কত টাকা চাই তোর?তুই সমাজে আমার নামে যে কলঙ্কের দাগ লাগিয়েছিস তা মুছে দিতে পারবি? বল, বল কত লাগবে?একবারে বললাম কথাগুলো তিহানাকে
-প্লিজ ছাড়ো আমার খুব লাগছে! তিহানা বলল,
আরে বল না প্লিজ কি দিলে তুই সমাজে আমার সম্মান ফিরিয়ে দিবি কি চাই তোর প্লিজ বল।
-তুমি আগে তো শুনবা আমার কথা গুলো।
চুপ তোর মত নিচু স্থানের মেয়ের কথা শোনার সময় আমার নাই, এই বলে আমি চলে আসলাম।
.
" সিগারেট আগে থেকে খাওয়ার অভ্যাস ছিল তবে আজকে খাওয়ার মানে হলো নিজেকে পুড়িয়ে শেষ করে দেওয়া হৃদয় মাঝে যেনো আগুন আর ধোঁয়া ছাড়া আর কিছুই না থাকে।
.
"
পরের দিন বাবা এলাকাবাসীদের বিশেষ করে মুরুব্বিদের নিমন্ত্রণ করলেন বাসায়। দাঁতে দাঁত চেপে আমি সব সহ্য করছি, এমন সময় রিদিতার ফ্রেন্ড আমায় ফোন দিয়ে জানালো রিদিতা হসপিটালে!
,,,
রিদিতার ফ্রেন্ডের কথা শুনে আমার গলা শুকিয়ে এলো।
পাগল মেয়েটা আবার কি কাণ্ড করে বসলো কে জানে!!
আমার চোখ মুখে বিষন্নতার ছাপ নেমে আসলো। পায়ের নিচে মাটি থাকা সত্ত্বেও আমার পা গুলো কেমন যেন অস্তিত্বহীন মনে হল।
.
তিহানা আমার দিকে হাসি মুখে এসে বলল তোমার মুখ মলিনতায় ছেয়ে গেছে কেন?কি হয়েছে তোমার?
আমার চেহারায় অগ্নি রূপ ধারণ করলো। আমি তৎক্ষণাৎ দৌড়ে চলে আসলাম। নিচ থেকে বাইকের চাবিটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম হসপিটালের পথে। মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে,
''আমার রিদিতার যদি কিছু হয় তাহলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না''
.
আমি হসপিটালে যেতেই রিদিতার বড় বোন কে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে। পাগল বেশে আমি বললাম,আপু রিদিতার কি অবস্থা এখন?
আপু মুখে কাপড় চাপা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
--ভালো না।
আমি অপেক্ষা করছি বাইরে। ডাক্তার কাউকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না।
.
প্রায় ঘান্টাখানিক পর ডাক্তার বললেন,
এখন বিপদ মুক্ত। তবে, এমন পাগলামো কি করে করলো একটা মেয়ে?আর আপনারাই বা কেমন কিছুই টের পারলেন না?
আমি ধীর পায়ে কেবিনে ঢুকলাম। 
এ যেনো শত বছরের পথ! মনের ভিতরে কেমন অস্থিরতা কাজ করছে বলে বুঝাতে পারব না।
.
---রিদিতার হাতে ব্লেডের আঘাত গুলো স্পষ্ট।
স্যালাইন লাগানো আছে। জ্ঞান ফেরেনি এখনো। মুখটা শুকিয়ে গেছে। এই মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কতই না বাহানা করতাম! গতকাল ফোন বন্ধ করে দেওয়া 
আমার-ই ভুল হয়েছে। আর, আজকে রিদিতার এই অবস্থার জন্য দায়ী শুধু মাত্র তিহানা।
.
রিদিতার জ্ঞান সন্ধ্যা নাগাদ ফিরলো। আমি তার পাশে বসে আছি। আমার চোখে বেয়ে নোনা পানি ঝরছে ।
আচমকা হেসে উঠলাম। মুখের হাসি দেখে যে কেউ বলে দিবে এই মাত্র যেনো বিশ্বজয় করে ফিরেছি আমি!
হ্যাঁ, এটা আমার কাছে রিদিতার চোখ খুলাটা বিশ্বজয় বটে। রিদিতার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম রিদিতা কাঁদছে ।
আমি চোখের পানি মুছে দিয়ে বললাম,
--কেন করলে এমন পাগলামো? তোমার যদি কিছু হয়ে যেতো ?
.
কেন করবো না? তোমায় বিয়ের কথা বলাতে তুমি ফোন রেখে দিয়েছো। তারপর কত মেসাজ করেছি। কোন মেসেজের উত্তর নাই। তুমি ছাড়া আমার পৃথিবীটা অস্তিত্বহীন রাফি।
রিদিতার কথার কোনো জবাব না দিয়ে নিথর দেহটা নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। মেয়েটা বড্ড অসহায় আমায় ছাড়া। সামান্য ফোন বন্ধ থাকায় সুইসাইড করতে চেয়েছিল। আর যদি বিয়ের কথা শোনে?
না না!এই বিয়ের কথা কোন দিন রিদিতার কান পর্যন্ত যেতে দেওয়া যাবে না।
.
মসজিদ থেকে এশার নামাজ আদায় করে আমি বাসায় ফিরলাম। আব্বু, আম্মু,তিহানা আর ছোট বোন শারমিন সবাই আমার দিকে এগিয়ে আসলো। কি হয়েছে?কোথায় গিয়েছিলাম?তা জানার জন্য।
আমি জবাব না দিয়ে রুমে চলে আসি।
রাত্রী দ্বিপহরে আগমন ঘটেছে। আমি বসে আছি পুকুর পাড়ে। শহর থেকে বেশ খানিকদূর আমাদের বাসা।যার কারনে রাতে নিরিবিলি থাকে। হিম হিম বাতাসে গা ঠাণ্ডা করে দিচ্ছে। আমি সিগারেট টেনেই যাচ্ছি আনমনে এমন সময় পেছন থেকে কারোর ধাক্কাতে জ্ঞান ফিরলো। তাকিয়ে দেখি তিহানা। মাথাগরম হয়ে গেল কি করব বুঝতে পারছিলাম না! তাই হাতে থাকা সিগারেটের আগুন দিয়ে তিহানাকে শক্ত করে চেপে তার পিঠে লাগিয়ে দিলাম। তিহানা চিৎকার করছে । এতে আমার ভেতরের আত্নাটা শান্তির হাসি হাসছে!! আমি তিহানাকে অনেক কষ্ট দিতে চাই অঙ্গার করে ফেলতে চাই পুড়িয়ে।
.
তিহানার চিৎকার শুনে আব্বু আম্মুর ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারা দৌড়ে এসে এই অবস্থা দেখে। আব্বু তিহানাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আমাকে থাপ্পড় মারতে লাগলেন।
আম্মু আমার কলার ধরে বলে,
তিহানার গায়ে আগুন না লাগিয়ে আমার কলিজায় লাগা আমি একটুও কষ্ট পাবো না।
আব্বু ফার্মেসী থেকে রাত্রে তিহানার জন্য মেডিসিন নিয়ে আসলেন। আমি ছাড়া পরিবারের সবাই কাঁদছে তিহানার এই অবস্থা দেখে।
শারমিনের চিৎকার কিছুতেই থামছে না।।
এমন সময় ফোন আসলো। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি রিদিতার ফোন। আব্বু আমার হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিলো সাথে সাথে।

পর্বঃ- ০২

আব্বু মোবাইলটা হাতে নিয়ে লাউড স্পিকারে দিয়ে দিলো।
আমার কোন কথা না শুনেই রিদিতা বলতে লাগলো, রাফি তুমি যাওয়ার পর থেকে কিছুই ভালো লাগছে না আমার।
আব্বু বললো এই মেয়ে কেমন পরিবারে তোমার জন্ম? একজন বিবাহিত ছেলের সাথে পরকীয়া করছো, তুমি কিসের জন্ম?
.
--মানে? আপনি কে?আর রাফি কোথায়?রিদিতা বলল,
আমি রাফির বাবা আর রাফির বিয়ে হয়ে গেছে তোমার জন্য আমার সংসারে আজ আগুন জ্বলছে। ভদ্র পরিবারের মেয়ে হলে আর রাফির কথা মুখে আনবা না।
-স্পষ্ট আমি ওপাশ থেকে রিদিতার চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেলাম
রিদিতা বলল,
না সব মিথ্যে রাফি শুধু আমার।
-বাবা ফোন কেটে মোবাইলটা ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেললো ।
স্কিন ভেঙ্গে যতটা টুকরো হয়েছে তার থেকে দ্বিগুণ আঘাত লেগেছে আমার মনের মাঝে।
আমি এমন একজন যে সাতার জেনেও নদীর মাঝে ভেসে চলেছি কবে পাবো এই নদীর কূল জানি না বিধাতা আমার কপালে কি রেখেছে তাও জানি না।
বড্ড চিন্তা হচ্ছে রিদিতার জন্য মেয়েটা পাগলী।আমি একবার ফুটবল খেলে পায়ে হালকা চোট পেয়েছিলাম। ঠিক ভাবে হাটতে না পারায় মেয়েটার চোখের পানি দেখে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি নাই সে দিন। তাকে কথা দিতে হয়েছিল আর কখনো ফুটবল খেলবো না। সে দিনের পর আর ফুটবল খেলি ও নি। আমার বিয়ের কথা শুনে নিশ্চিত ও আরো অনেক বেশি পাগলামি করবে।
রাত কেটে গেলো নানা রকম ভাবনায়।
.
আজ মনটা বড্ড ছটফট করছে রিদিতার জন্য। রিদিতাকে যদি একবার দেখে আসতে পারতাম। মোবাইলটাও আব্বু গত দিন ভেঙ্গে ফেলেছে। কোন ভাবেই খোজ নিতে পারছি না রিদিতার।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে।রুমে কেউ আসার শব্দ হলো তাকিয়ে দেখলাম তিহানা।
রাগ আর ঘৃণায় চোখ ফিরিয়ে নিলাম।
তিহানা বলল, কাল থেকে কিছু মুখে নাওনি । একটু খেয়ে নাও ।
.
তিহানার দিকে তাকিয়ে বললাম কি এনেছিস খাওয়ানোর জন্য?
-ভাত আর তোমার পছন্দের ইলিশ মাছ।
প্লিজ এর সাথে বিষ মিশিয়ে নিয়ে আয় খেয়ে মরে যায় আমি।
.
তিহানা বলল, তোমাকে আর রিদিতাকে আমি এক করে দেবো শুধু মা-বাবার সামনে একটু নরমাল বিহিভ করো প্লিজ।
হা হা হা, বাবা মা বেচে থাকতে তা হবে না ,আর বাবা তো গত দিন সব কিছু শেষ করে দিলো।
--আমি সব দেখে নেবো তুমি এখন খেয়ে নাও।
আমি আর কিছু না বলে খেয়ে নিলাম।
তিহানা যাওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করলাম তুই খেয়েছিস?
.
তিহানা চোখের পানি মুছে বলল,কিছু মানুষের ক্ষুদা মিটানোর জন্য খেতে হয় না।
সন্ধ্যায় ছাদে আনমনে দাঁড়িয়ে আছে তিহানা চোখে জ্বল । আজ নিজের মা বাবা কে অপরাধী করছে তিহানা। যদি ওপরেই চলে যাবে তাহলে আমায় কেন এই কঠিন পৃথিবীতে বাস্তব নামক শহরে রেখে গেলো।যেখানে নিজের বলতে কিছু নেই। আমার ও যে স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছা হয়।
এমন সময় হাজির শারমিন,আপু কি করছো?
--তিহানা চোখের পানি মুছে বললো কিছু না সন্ধ্যার আকাশ দেখছি।
আপু তুমি ভাইয়াকে সব সত্যিটা খুলে বলছো না কেন?
--তার দরকার নাই এতে খালা আর খালু কষ্ট পাবে।
শারমিন তিহানাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিয়ে বলে আপু তোমার এত ধৈর্য কি ভাবে হয়? প্রতিটা মানুষের মন রাখতে গিয়ে সব সময় নিজের ইচ্ছার কথা ভুলে যাও।
পরের দিন তিহানা বললো আমার টুকিটাকি জিনিস কেনা লাগবে। এই বলে তিহানা রাফিকে নিয়ে হসপিটাল চলে যায় রিদিতাকে দেখতে।
রিদিতা রাফির সাথে তিহানাকে দেখে!.....

" রিদিতা বলল, রাফি তোমার পাশে এটা কে তার মানে তুমি বিয়ে করে নিয়েছো সত্যি!
_ রিদিতা পাগলামো করতে লাগলো আর কাঁদতে লাগলো, রাফি বললো রিদিতা তুমি আগে তো শোন প্লিজ পাগলামো করো না।
_ রাফি বিয়ের পর কি শোনবো আমি তুমি আমায় ধোকা দিয়েছো।
_ রিদিতা ও আমার খালাতো বোন, এই তিহানা বল।
_ তিহানা রিদিতার চোখের পানি মুছে দিয়ে নিজে কেঁদে কেঁদে বললেন হ্যা আপু রাফি আমার ভাই, আমি কি করে তার বউ হই তোমার মত পরীর মত লক্ষী একজন কে রাফির সাথে বিয়ে দেবো।
_ রাফি রিদিতার কপালে চুমুক দিয়ে বললো আমার নিঃশেষ যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ আমি তোমার,।
_ তিহানা চোখ বন্ধ রাখলে ও চোখের জ্বল কিন্ত তার সাথে আপস করছে না নল কূপে পরিণত হয়েছে।
_ রাফি বললো রিদিতা আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করব, আজ যাই এই বলে রাফি তিহানাকে নিয়ে বেড়িয়ে আসলো।
,,


[IMG]https://dl4.wapkizfile.info/download/d54aeb21763753dd20ad9ec48fde28ea/22a458a748294a359750eba33d5b0fab/smsudipbd+wapkiz+mobi/golpo_obhizog.jpg[/IMG]



রাফি তিহানা কে বললো চল আজ তোকে ফুচকা খাওয়াবো।
_ না আমার ফুচকা ভালো লাগে না।
_ মিথ্যা বলিছিস কেন আগে তো মাথা নষ্ট করে ফেলতি, আর কিছু বললে বলতি আমার জামাই খাওয়াবে,চল আজ আমি অনেক খুশি তোকে আজ যা চাস খাওয়াবো।
_ তিহানা চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো সে কপাল কি আর আমার আছে,কথায় কথায় বলতাম জামাই সব দিবে,এই বলে নিজের মনকে শান্তনা দিতাম নিজের মন কে,, কারন তখন নিজের বলতে কেউ ছিল না না মা বাবা না ভাই বোন, তবে কপাল যার খারাপ তার চিরদিনে খারাপ থাকে।
_ রাফি তিহানার কথার ইঙ্গিত খোব ভাল করেই বুঝতে পারছে তবু ও চুপচাপ তিহানার পাশে হেটে চলছে, আকাশদেবতা হয়ত নিজেই চাচ্ছে না তিহানা আর রাফির দূরত্ব কমে যাক, ইশ এখন যদি ঝুম করে একটা বৃষ্টি হত তাহলে মনের প্রখরতা দূর হয়ে হয়ত সতেজতা ফিরে আসতো।
_ রাতে রাফি বললো তিহানা আমি আর রিদিতা খুব দ্রুত বিয়ে করতে চাই 
_ তিহানা চোখ বুঝে বললো বেশ ভালো তো।
_ রাফি বললো তুই মন খারাপ করিস না আমার কোন একটা ভাল বন্ধু দেখে তোকে বিয়ে দিয়ে দেবো।
_ তিহানা রাফির দিকে তাকিয়ে অঝোর ধরাই কাঁদতে লাগলো আর বলতে লাগলো তোমাকে আমার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি সো নিজের চিন্তা করুণ।
_ রাফি বললো আচ্ছা বিয়ের দিন তোকে আম্মু যে শাড়ীটা দিয়েছিল তা আমায় দে তো।
_ কেন?
" আরে আম্মু তো দিয়েছিল আমার বউ হিসেবে, কিন্ত তুই আর আমি তো জানি আমাদের সম্পর্ক কি তাই রিদিতার জন্য এটা দিয়ে দে।
_ তিহানার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরলো, তিহানা অস্ফুটভাবে বললেন এই অধীকার টা ও কেড়ে নিবে,।
_ তিহানা শাড়ীটা রাফির হাতে দেওয়ার সময় শাড়ীর মাঝে চোখ থেকে কয়েক ফোটা পানি চোখ থেকে গড়িয়ে পরলো।
_ রাফি তিহানার চোখের পানির দিকে বিন্ধুমাত্র দৃষ্টিপাত করলো না।
_ তিহানার বুকের মাঝে কেউ যদি পাহাড় চেপে ধরে এতটা আঘাত লাগতো না যতটা রাফি শাড়ীটা কেড়ে নেওয়াতে কষ্ট লাগছে, স্বামী তো ভাগ্য নেই। বিয়ের শাড়ীটা ও কেরে নিলো।
_, রাতে ঘুমের মাঝে রাফি তিহানাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি।

চলবে.....?
গল্প প্রেমিক


পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !

মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up

কোন মন্তব্য নেই।
Top
SMsudipBD