[Story] ❤ স্বপ্নপূরণ ❤
লেখক: SMsudipBD About 2020s ago |
❤ স্বপ্নপূরণ ❤
ডাক্তারের চেম্বারের বাহিরে বসে
আছি... কম্পাউন্ডারকে বল্লাম যে
ম্যাডামের সাথে আমার কথা আছে আমি
তার পূর্ব পরিচিত। কিন্তু সে বললো যে
সিরিয়াল ছাড়া যাওয়া যাবে না...
সিরিয়াল ৫৬ নাম্বার। প্রায় ৩ ঘন্টা বসে
[IMG]https://smsudipbd.wapkiz.mobi/download/dl4/d5b32864ff1d9dd68c5f13916bf70993/smsudipbd+wapkiz+mobi/sopno-puron-(smsudipbd.wapkiz.mobi).jpg[/IMG]
আছি... ভালোই অনেক টাইম নিয়ে রুগীকে
টেককেয়ার করে। ভালো লাগলো দেখে
তানিম আজ অনেক বড় ডাক্তার।
অবশেষে আমার সিরিয়াল এলো...
কম্পাউন্ডার তানিমকে বলল...
-- ম্যাডাম একজন আপনার সাথে শুধু কথা
বলতে এসেছে। প্রায় ৩ ঘন্টা যাবত বসে
আছে। সে রুগি না তাকে কি পাঠাবো...?
-- কে...?
-- জানি না ম্যাডাম কি যেন নাম বলল হ্যাঁ
মিরাজ।
তানিম এখন অবাক হয়ে গেলো। আজ প্রায় ৫
বছর পর মিরাজ আমার কাছে এসছে। কেন
এসেছে, কি চায় সে...? মনের মধ্যে অনেক
প্রশ্ন।
তখন কম্পাউন্ডার আবার বলল...
-- ম্যাডাম ওনাকে কি চলে যেতে বলব।
-- না না। ভিতরে আসতে বলো। আর এই কথা
আগে বলনি কেন...?
-- মনে নেই ম্যাডাম।
-- যাও ওনাকে আসতে বলো।
-- জ্বী ম্যাডাম।
তানিম এখন একটু ভালো ভাবে বসলো।
মিরাজকে ভিতরে যেতে বলা হলো। সে
ভিতরে যাওয়ার আগে পারমিশন নিলো...
-- আসতে পারি...?
--জ্বি। আসেন। আসসালামু আলাইকুম।
-- ওয়ালাইকুম সালাম। ভালো আছেন...?
-- জ্বি আলহামদুলিল্লাহ। আপনি ভালো
আছেন...?
❤ স্বপ্নপূরণ ❤
-- আল্লাহ ভালো রাখছেন। সরি আপনাকে
ডিস্টার্ব করা লাগলো। আমি আসতে চাই
নি। কিন্তু মা অনেক জেদ করলো তাই।
-- না না ঠিক আছে বলেন। আর আপনি
আপনি করে বলছেন কেন...?
-- এমনি। আসলে আগামী শুক্রবার আমানতুর
বিয়ে। মা বলল যে বাড়ির একটা মাত্র বউ
যদি না থাকে লোকে কি বলবে।
-- আমানতুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে...?
-- হ্যাঁ। যদি আপনার মুল্যবান সময় থেকে ৩
টা দিন আমাদের দিতেন তাহলে খুন উপকার
হতো।
-- এভাবে কেন বলছেন। এটা আমার
দায়িত্বের মধ্যে পরে আমি অবশ্যই যাব।
-- ধন্যবাদ। আমি তাহলে আসি। বুধবারে
আমাকে একটা ফোন দিয়েন আমি এসে
নিয়ে যাব। নাম্বার আগের টাই আছে।
আসছি।
-- এখনি চলে যাবেন...?
-- হ্যাঁ।
-- বলছি যে দুপুর হয়ে গেছে। একসাথে লাঞ্চ
করি।
-- আপনার জন্য অনেকে বাহিরে ওয়েট
করছে। আমি আসি। ভালো থাকবেন।
এই ৫ বছরে অনেক শক্ত হয়ে গেছি। আসলে
হতে হয়েছে। আমাদের বিয়ে হয়েছে ৬ বছর
হলো। পারিবারিক ভাবেই হয়েছে। আমি
বাবা-মা কে বলেছিলাম যার সাথে বিয়ে
দিবে তাকেই করব তাই ওত ঝামেলা হয়নি।
গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর ই শুরু হলো
বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা। মনে পরে
তানিমকে দেখতে গিয়েছিলাম ২২ এপ্রিল
২০১৪ তে। আসলে সেদিন আমার জন্মদিন
ছিল। কি মায়াবী চেহারা। দেখেই প্রেমে
পরে গেলাম। মা-বাবারও পছন্দ হয়েছে।
বিপত্তি বাধালো তানিমের মামা। সে
বলল ছেলে কোনো কাজ করে না। তখন
আমার বাবা বলল ছেলে আমার ব্যবসার
হাল ধরবে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে
সবাই রাজি হলেন। ১ মাস পর বিয়ে।
বিয়ের দিন তানিমকে ফোন দিলাম ধরল
না। ভাবলাম হয়ত ব্যাস্ত। ভালোভাবেই
বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলো। এখন ঘরের
বাহিররে দাঁড়িয়ে আছি। হারামি বন্ধুরা
বুঝাচ্ছে কি করব না করব। এই জিনিস্টা খুব
বিরক্তিকর। আরে ভাই আমি কিছু না
যেনেই কি বিয়ে করতে গেছি। আজিব।
শেষমেশ রুমে গেলাম।
তানিম গুটিসুটি হয়ে বসে আছে।মনে হচ্ছে
বিরক্ত বোধ করছে। আমি বিছানায় গিয়ে
বসলাম। হঠাত তানিম বলে উঠল...
-- আপনি চাইলে আপনার স্বামীত্ব ফলাতে
পারেন কিন্তু আমি আপনাকে স্বামী
হিসাবে মানি না।
(এইটা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিয়াম
না আমি।)
❤ স্বপ্নপূরণ ❤
-- এমনটা কেন...?
-- কারন আপনার জন্য আমার সব স্বপ্ন ভেঙে
চুরমার হয়ে গেছে। আপনাকে আমি জীবনেও
ক্ষমা করবো না।
-- আচ্ছা। কি স্বপ্ন ছিল আপনার।
-- আমার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সেই
লক্ষ্য নিয়েই আমি আমার লেখাপড়া করে
গেছি। কালকে আমার মেডিক্যাল এর
এডমিশন টেস্ট। আর আমি এখন আপনার
সাথে এখানে। আমি আপনাকে মাফ করব
না কখনো।
-- সিট পড়েছে কোথায় তোমার...?
-- সেগুলা জেনে আপনি কি করবেন...?
-- আহা বলো না।
-- ইডেন মহিলা কলেজ।
-- আচ্ছা এখন যা হওয়ার তা তো হয়েই
গেছে। কি করা যাবে। তুমি যদি আগে
আমাকে একটু বলতা তাহলে কিছু একটা করা
যেত।
-- হ্যাঁ। নেন এখন আপনার শখ মেটান।
-- থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটায় দিব।
স্বামীর সাথে এভাবে কথা বলে।
(ভয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলো।) যাও ফ্রেস হয়ে
আসো। আলমারিতে থ্রি-পিস রাখা আছে।
-- জ্বি।
তানিম চলে গেলো ফ্রেস হতে এদিকে
আমি ভাবছি কিভাবে ওর পরীক্ষাটা
দেওয়ানো যায়। কাগজে একটা বার্তা
লিখে বেরিয়ে পরলাম। তানিমের ছোট
বোনকে ফোন দিয়ে বললাম যেন তানিমের
এডমিট কার্ডটা নিয়ে নিচে আসে।
তানিম ফ্রেস হয়ে এসে দেখে যে বিছানায়
একটা চিরকুট। তাতে লিখা "ঘুমিয়ে পরো।"
আমার বাড়িতে আসতে আসতে সকাল হয়ে
গেলো। ভোর ৬ টায় কাগজপত্র নিয়ে
বাড়িতে আসলাম। তারপর রুমের দরজা নক
করতেই তানিম দরজা খুলে দিলো।
-- কোথায় গিয়েছিলেন...?
-- জাহান্নামে। রেডি হও।
-- কেন...? কোথায় যাবো...?
-- তোমাকে নিয়ে পালিয়ে যাব।
-- কি সব যা-তা বলছেন।
-- সত্যি বলছি। রেডি হও।
ও জামা চেঞ্চ করল। আমি আর তানিম
বাইকে রওনা দিলাম। মনের শুখে বউকে
নিয়ে বাইক চালাচ্ছি। হঠাৎ জিজ্ঞাসা
করলাম...
-- কেমন লাগছে...?
-- ভালো না।
-- কি বলো। এতো সুন্দর আবহাওয়া আর
তোমার ভালো লাগছে না।
৯;১৫ তে এসে ইডেন কলেজের সামনে
পৌঁছালাম। তানিম জিজ্ঞেস করলো
--এতো মানুষ কেন এখানে...??
-- সামনে ইডেন মহিলা কলেজ তো তাই।
-- মানে...?
-- মানে তুমি পরীক্ষা দিতে এসেছো।
ওর মুখে হাসি ফুটে উঠল। বিশ্বজয়ী হাসি...
কিন্তু আবার মলিন হয়ে গেলো। আমি
বললাম...
-- কি হলো খুশি হও নাই...?
-- আমার এডমিট কার্ড নাই তো। সেটা তো
বাসায় রেখে আসছি।
-- ইউর হাসবেন্ড ইজ হেয়ার ম্যাডাম।
( জ্যাকেটের পকেট থেকে এডমিট কার্ড
বের করে দিতেই সে আমাকে জড়িয়ে
ধরলো...)
-- কি কালকে তো খুব করা করা কথা
শুনাইলা। হুম্ম।
-- সরি।
-- হইছে যাও এখন। আর ভয় নাই। নির্ভয়ে
পরীক্ষা দিবা। আমি এখানেই থাকব।
-- আচ্ছা।
কিছু দুর যাওয়ার পর আবার দৌড়ে এসে
জড়িয়ে ধরলো। একটা কিস করে আবার
দৌড়।
❤ স্বপ্নপূরণ ❤
পরীক্ষা শেষে বেড়িয়ে এসে যা বলল। মনে
হচ্ছে কষ্ট সার্থক।
-- পরীক্ষা কেমন হইছে....?
-- সেই হইছে... মনে হচ্ছে হয়ে যাবে।
-- আলহামদুলিল্লাহ। একটা হাগ দাও।
-- কেন যাওয়ার সময় না দিলাম।
-- যাওয়ার সময় দিছো তো আবার দাও।
.
(বি.দ্র.: কেমন হয়েছে অবশ্যই যানাবেন, আপনাদের সারা পেলে পরবর্তী অংশ দিবো।)
.
.
চলবে.........
.
পরবর্তী পর্ব গুলো পেতে ফলো অথবা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিন
❤ স্বপ্নপূরণ ❤
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up
কোন মন্তব্য নেই।