Romantic Love Story|রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প (Writers group)
লেখক: SMsudipBD About 2020s ago |
Romantic Love Story|রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প (Writers group)
"বাবু আমার আব্বুর টাক মাথায় বোম মারতে পারবে?"
সাদিয়ার মুখে এমন কথা শুনে হা করে কিছুক্ষণ মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
ওপাশ থেকে সাদিয়া আবার বললো-"কি হলো বাবু,কথা বলছো না কেনো?"
[IMG]https://smsudipbd.wapkiz.mobi/download/dl4/1d44ee39f19560a3e4b8129d2a792663/smsudipbd+wapkiz+mobi/sobai-rat-jagte-(smsudipbd.wapkiz.mobi).jpg[/IMG]
-"হ্যাঁ বলো,কি যেনো বলছিলে?"
-"বলছিলাম আমার আব্বুর টাক মাথায় একটা বোম মারবা।"
-"কিন্তু কেনো?"
-"কেনো আবার?তুমি জানো না আব্বু আমাকে সেই তিনমাস ধরে বাসা থেকে বের হতে দেয়না?"
-"তাতে কি?"
-"তাতে কি মানে?তুমি হলে টুটু কোম্পানির ম্যানেজার আর আমি হলাম তোমার গার্লফ্রেন্ড। আমি কি টুটু না করে সারাক্ষণ বাসায় থাকতে পারি?"
-"না,অবশ্যই পারো না।"
-"তাহলে আব্বুর টাক মাথায় বোম মারো।"
-"তোমার আব্বুর টাক মাথায় বোম মারলে লাভ কি?"
-"বোম মারলে বোমের বিষ্ফোরনে আব্বুর মাথার আজেবাজে ঘিলুগুলা বের হয়ে যাবে।তখন আবার মাথায় নতুন ঘিলুর জন্ম নিবে।তাহলে আব্বুর বুদ্ধিটা কিছু বাড়বে আর আমাকে বাহিরে যেতে দিবে।"
'সাদিয়ার এমন কথা শুনে মাথা ঝিম ধরে এলো।চুপচাপ ছাঁদে বসে পরলাম।'
-"কি হলো?চুপ হয়ে যাও কেন? মারবেনা বোম?"
-"বোম মারলে তো তোমার আব্বু মারা যাবে।তখন আমাকে জেলে যেতে হবে আর তুমিও এতিম হয়ে যাবে।"
-"তাহলে এক কাজ করো আব্বুর টাক মাথায় মাঝারি ধরনের একটা পাথর মারো।তাহলে মাথার মগজ আবার নতুন করে আপডেট হবে।"
-"কি বলছো এগুলা।এসব বুদ্ধি তোমাকে কে দিয়েছে?"
-"আরে আমার বান্ধুবি মিম আছেনা।ওর আব্বু ওকে বাহিরে যেতে দিতো না।কিন্তু হঠাৎ একদিন ওদের গাছ থেকে ওর বাবার মাথায় নারিকেল পরে।তারপর কিছুক্ষণ ওর আব্বু অজ্ঞান হয়ে পরে থাকে।আর যখন জ্ঞান ফিরে তখন মিমকে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার আব্বুর মাথায়ও এরকম কিছু একটা ফেলতে হবে তাহলে আমাকেও আব্বু বাহিরে যেতে দিবে।তোমার সাথে দেখা করতে দিবে।"
'সাদিয়ার কথা শুনে মনে মনে বলি,ভাগ্যিস মিমের আব্বুর মাথায় আপেল পরে নাই।তাহলে তো এই কালে নিউটন হয়ে যেতেন তিনি।'
Romantic Love Story|রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প (Writers group)
-"কিন্তু তুমি নিজেই তো লুকিয়ে তোমার আব্বুর মাথায় পাথর মারতে পারো।"
-"আরে বুঝো না কেন?আমি কি আমার নিজের আব্বুকে পাথর মারতে পারি?আব্বু ব্যাথ্যা পাবেনা?আমি আব্বুকে কত্ত ভালোবাসি।"
ফিসফিসিয়ে বললাম-"হ,কত্ত যে ভালোবাসো তা তোমার কথা শুনেই বুঝা যায়।"
-"কিছু বললে তুমি?"
-"কই না তো।"
-"তাহলে কাজটা করে দেও।"
-"তোমার আব্বু তিনমাস ধরে তো বাড়ি থেকে বের হয়না।তার উপর তোমার আব্বু আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বাড়িতে সবসময় পাহাড়াদার থাকে।এখন এই অবস্থায় তোমার আব্বুর মাথায় কিভাবে পাথর মারি তুমিই বলো?"
আমার কথা শুনে থেকে সাদিয়া নাক ছিটকিয়ে বললো-"ছিঃ ছিহ নিলয়।তুমি হলে আমার বয়ফ্রেন্ড তার উপর আমরা দুজনে সাইন্সের ছাত্র।এসব কোনো ব্যাপার হলো?"
-"কিন্তু আমার মাথায় তো কিছুই ডুকছে না?"
-"শোনো তাহলে,প্রথমে আমাদের বাড়ির পিছনে আমবাগানে আসবে তুমি। আমবাগান থেকে আমাদের বারান্দার দূরত্ব ৭৫ মিটার।সকালে আব্বু ওখানে বসে চা খায়।বারান্দার সামনে পশ্চিম দিকে একটা ছোট্ট ঘর আছে যার উচ্চতা ১০ মিটার। তুমি উলম্ব বরাবর ৬০ ডিগ্রি কোনে এবং ৩০ মিটার পার সেকেন্ড বেগে একটা পাথর নিক্ষেপ করবে। যা সরাসরি আমার আব্বুর টাক মাথায় গিয়ে পরবে।"
-"সেটা না হয় বুঝলাম।তোমার বাড়ি নদীর ওইপাড়ে আর এখন তো বর্ষাকাল। নদীতে অনেক পানি আর সাথে প্রচণ্ড স্রোত। নদী পাড়ি দিয়ে তোমাদের আমবাগানে যাবো কিভাবে?"
-"তুমি আসলেই ব্যাকবেঞ্চার। যদি ফাস্ট বেঞ্চার হইতা তাহলে এটা অন্তত জানতা।"
-"দেখো ব্যাকবেঞ্চার কে কখনো ছোট করবা না।আমরা ব্যাকবেঞ্চাররা আছি বলেই তোমার মতন ফাস্ট বেঞ্চারের দাম স্যারের কাছে একটু বেশি।ভুলে যেওনা ফাস্ট বেঞ্চারের থেকে ব্যাকবেঞ্চারের ট্যালেন্ট সবসময় বেশি।"
-"দেখো তর্ক করার ইচ্ছা নাই,যা বলছি তাই শুনো।নদীতে স্রোতের বেগ প্রতি ঘন্টায় ৩ কিলোমিটার। আর তুমি ওইপাশে নদীর পাড় থেকে ঘন্টায় ৪ কিলোমিটার বেগে স্রোতের সাথে ১৩৮.৫৯ ডিগ্রী কোনে নদীতে সাঁতার দিবা।তাহলেই একেবারে আমাদের আমবাগানে এসে পৌঁছাইবা।"
-"কিন্তু এতকিছুর হিসাব নির্ণয় করবো কিভাবে?"
-"সেটা তোমার ব্যাপার।উল্টাপাল্টা কিছু করলে কিন্তু রিলেশনের ব্রেকাপ করে দিবো?আর শুনো সাঁতার কেঁটে এসে ক্ষুধা লাগলে বাগান থেকে আম পেড়ে খেয়ো।আমি অনুমতি দিয়ে দিলাম। এখন রাখি,বাসা থেকে বের হতে পারলে আবার কথা হবে,বলেই সাদিয়া কল কেটে দিলো।"
মনে মনে বললাম-" আমাকে ভিজিয়ে আম দান?"
'পরেরদিন সকাল সকাল অনেক কষ্ট করে সাঁতার কেটে নদী পার হয়ে সাদিয়াদের আম বাগানে গেলাম।
চোখের মাপেই যাবতীয় বেগ,কোণ,দূরত্ব নির্ণয় করলাম।ব্যাকবেঞ্চার বলে কথা।পরীক্ষায় কার খাতার দিকে কত ডিগ্রী কোনে তাকালে দেখা যাবে,কত দূরত্বে রেখে কত ডিগ্রী কোণে তাকিয়ে নকল করা যাবে,এসব নিয়েই ব্যাকবেঞ্চারের গবেষণা।'
'আমবাগান থেকে তিন কেজির একটা পাথর ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে আর ৬০ ডিগ্রী কোণে ছুড়ে মারলাম সাদিয়ার আব্বার টাক মাথা বরাবর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত পাথরটি ছোট্ট ঘরের কোনায় লেগে তা গিয়ে পড়লো সাদিয়াদের টিউবওয়েল পাড়ে, একেবারে সাদিয়ার মায়ের মাথায়।আর ওমনি কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি আর সাদিয়ার কান্নার রোল পড়ে গেলো।'
'ভয়ে কোনো রকম দৌড়ে এসে নদীতে ঝাপ দিয়ে অনেক কষ্টে বাড়িতে পোঁছালাম।'
রাতে সাদিয়া ফোন দিয়ে বললো-"তুমি আমার এত বড় সর্বনাশ করলে?"
সাদিয়ার কথা শুনে নাউজুবিল্লা বলে মুখে হাত দিলাম-"তিনমাস ধরে তো তোমাকে স্পর্শ’ই করিনা।তোমার সর্বনাশ করতে যাবো কোন দুঃখে?"
সাদিয়া ধমক দিয়ে বললো-"চুপ।অসভ্য, ইতর,ছোটলোক, শালা টুটু কোম্পানির ম্যানেজার, ব্যাকবেঞ্চার। যত প্রকার গালি আছে সব দিলো।"
'আমি নিরব দর্শকের মতন শুধু শুনেই গেলাম।'
কিছুক্ষণ পর সাদিয়া শান্ত হলে বললাম-"কি হলো তোমার,হঠাৎ এগুলা বলতেছ কেন?"
-"কি হয়নাই তাই বল।তুই আমার বাপের মাথায় পাথর না মেড়ে আমার মায়ের মাথায় পাথর মেড়েছিস কেন?
-"তোমার মা সকাল সকাল টিউবওয়েল পাড়ে কি করতেছিলো?"
-"চায়ের কাপ ধুইতেছিলো।তর মতন কি টুটু করে বেড়ায় নাকি?"
'আশ্চর্য এখানে টুটু করার কথা আসলো কোত্থেকে?'
তবুও শান্ত স্বরে বললাম-" আসলে ভুলটা তোমারই হইছে!"
-"আমার হইছে মানে?"
-"মানে তুমি বলছিলে বারান্দার সামনে ছোট ঘরটার উচ্চতা ১০ মিটার।তাই আমি সেই অনুপাতে পাথরটি নিক্ষেপ করেছি।কিন্তু ঘরের উচ্চতা ১০ মিটারের বেশি হওয়ার কারনে পাথরটি ঘরের কোনায় লেগে তোমাদের টিউবওয়েল পাড়ে তোমার মায়ের মাথার উপর পরে।এতে আমার দোষ কোথায়?"
-"সব দোষ তোমার।তুমি একটু উঁচু দিয়ে পাথরটা নিক্ষেপ করলেই আম্মুর মাথায় পাথরটা না লেগে আব্বুর টাক মাথায় লাগতো।"
-"মুটেও আমার দোষ না।তুমি পদার্থবিজ্ঞানের কিসব পড়ে আমাকে বলছো আর আমিও তাই করেছি।"
-"কিহ!আমার দোষ তাই না।তুমি আমার মায়ের মাথায় পাথর মেড়েছ আবার বড় বড় কথা বলো।যাও তোমার সাথে ব্রেকাপ।তোমার সাথে আমার আর কোনো রিলেশন নাই,যাও ব্রেকাপ,ব্রেকাপ,ব্রেকাপ।বলেই সাদিয়া কল কেটে দিয়ে নাম্বার,ইমু,ফেসবুক,মেসেঞ্জার সব জায়গা থেকে ব্লক করে দিলো।"
Romantic Love Story|রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প (Writers group)
'হঠাৎ এমন ব্রেকাপ হওয়াতে এক প্রকার ডিপ্রেশনে চলে গেলাম।এখন মাঝরাতে ছাঁদে বসে কবিতা আবৃতি করে ডিপ্রেশন দূর করার চেষ্টা করছি...'
"যার কারনে করলাম চুরি সেই বলে চোর।"
"যার কারনে মারতে চাইলাম পাথর হবু শ্বশুরের উপর।"
"শ্বাশুরি আমার টিউবওয়েল পাড়ে ধুইতে ছিল চায়ের কাপ।"
যার ফলে পাথরের আঘাত পেয়ে শ্বাশুরির মেয়ে করলো ব্রেকাপ"
লেখাঃ Shohag Hasan Niloy
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up
কোন মন্তব্য নেই।