With a mermaid (Vampire island) #1st Episode
লেখক: SMsudipBD About 2020s ago |
আজ আমি বাবা র সাথে আটালান্টিক মহাসাগর পারি দিয়ে আমেরিকা যাব।
কিন্তু আমি জানতাম না এই ভ্রমন ই আমার জন্য কাল হয়ে দারাবে।
প্রচন্ড উত্ত্যেজিত ছিলাম। কারন এর আগে বাবা র সাথে কখনো ই জাহাজে চড়ি নি।
আপ নাদের কে ত আমার পরিচয় ই দেওয়া হয় নি।
আমি জ্যাক ।বয়স ১৬ আমার বাবা পেশায় একজন নাবিক।
শুধু নাবিক নন একজন সুদক্ষ নাবিক।
সকাল ১২:১৫,(১৯৮৭_০১_০৩)
১৫ মিনিট পরে জাহাজটি আমারিকার উদ্দেশ্য এ রওনা দিবে।
আমি আর বাবা জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বসে আছি কারন আর কিছু ক্ষন পরেই জাহাজ স্টার্ট করব ।
বাবার সহকারীর নাম রায়ান।
আগে পরিচয় ছিল না।
আজকে বাবা এসে তার সাথে পরি চয় করিয়ে দিল।
লোক টা খুব ভালো খুব আদুরে।
খুব ভালো লেগছে লোক টা কে।
বাবার স্বপ্ন আমি ও বড় হয়ে তার মত একজন নাবিক হব।
আমার ও তাই।
১২:৩০ বেজে গেছে,
বাবা ইঞ্জিন স্টার্ট করলেন আর স্পিড কত থাকবে তার জন্য রায়ান আংকেল কে জিজ্ঞেস করেন।
রায়ান আংকেল ৮০ আর সাথে নর্থ শব্দ টা উচ্চারণ করেন।
আমি মানে বুঝে গেলাম।
কারন বাবা আমাকে আগে থেকে ই এই সব ব্যাপারে জানিয়ে রেখেছিলেন। রায়ান _আংকেল মাঝে মাঝে ইঞ্জিন রুম থেকে একটা করে চক্কর দিয়ে যাচ্ছে।
জাহাজ চলতে শুরু করল।
নিজ মাতৃ ভুমি টার দিকে একবার ভালো করে চোখ বুলালাম।
কেমন যেন মনে হলো আর কখনো দেখা হবে না।
প্রচন্ড রকম খারাপ লাগা কাজ করছিল।
আমার এর কম চুপ মেরে যাওয়াতে বাবা জিজ্ঞেস করল
বাবা-----কীরে জ্যাক! চুপ করে রইলে যে..?
আমার মা নেই তাই কখনো মায়ের আদর পাই নি বাবাই আমার সব বাবার জন্য আমি সব কিছু করতে পারি।
আমি----না বাবা কিছু না।
রায়ান আংকেল কে ইঞ্জিন রুমের
দ্বায়িত দিয়ে আমি আর বাবা বেড়িয়ে ইঞ্জিন রুম থেকে।
জাহাজের এক্কেবারে সামনের অংশের দাঁড়িয়ে আমি আর বাবা ওই গভীর সাগরের দিকে তাকিয়ে আছি।
যতদুর চোখ যায় শুধু নীল পানি আর পানি।
হঠাৎ রায়ান আংকেল বাবাকে তার সহকারী র মাধ্যমে ডেকে পাঠান।
বাবা---তুই এখানে দারা আমি রায়ান এর কী হয়েছে দেখে আসি।
আমি----ঠিক আছে বাবা।
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাগর।দেখ্তে লাগলাম। প্রচন্ড জোরে বাতাস বইছিল।
আমার চুল বড় রাখা একটা অভ্যাস।
আমি বুঝতে পারছি এই প্রচন্ড বাতাসে আমার চুল গুলো ডানা মেলে উড়ছে।
হঠাৎ সাগরের নীল পানি র মধ্যে সাদা কী যেন ভেসে উঠল।
আমি ভেবেছিলাম হয়ত ডলফিন হবে।
কিন্তু আসলে আমার ধারনা ভুল ছিল।
হঠাৎ বাবা ইঞ্জিন রুম থেকে বের হলো।
বাবা--- দুই টা খারাপ নিউজ আছে।
আমি---কী কী..?
বাবা----আমাদের জাহাজের সাথে বিরাট বড় একটা প্রানী বেজেছে।
কোন ভাবেই ছুটানো যাচ্ছে না।
আর ২য় টা হলো আমাদের দিক পাল্টাতে হয়েছে কারন যে রাস্তায় যেতে চেয়েছিলাম ওই দিকে একটা ঝড়ের সংকেত দিচ্ছে র্যাডার।
আমি একটু কৌতুহলী ছিলাম কী এমন জিনিস জাহাজের সাথে আটকে ছে..?
রাত ৮:৩০(যাত্রার দিন),
আমার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছি।
যার কারনে চোখে আর কোন ভুমি বা মাটি দেখা যাচ্ছে না সামনে পিছনে শুধু পানি আর পানি।
ইঞ্জিন থেকে রায়ান আংকেল হাসতে বের হচ্ছেন আর কী যেন বলছেন..?
আমি---রায়ান আংকেল কী হয়েছে..?
রায়ান আংকেল ---ছুটে গেছে! ছুটে গেছে।
আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না কী ছুটে গেছে!
সাগরের ঠান্ডা হাওয়া খেতে খেতে ভাবলাম কী ছুটে গেছে..?
হঠাৎ ই মনে পড়ল বাবা ত বলেছিল জাহাজের সাথে কী যেন আটকে গিয়ে ছিল..? সেটা ইঅনে হয়।
হঠাৎ একটা ছেলে র দিকে চোখ পরলো আমার সমবয়সী দেখতে।
কিন্তু এই শীতের মাঝে ও পড়নে কোন শীত এর পোশাক নেই।
নাম জিজ্ঞেস করলাম বলল রোলান্ড।
ছেলেটাকে ভালো লেগেছে তাই বন্ধুত্ব করলাম। ওর বাবা মা কে ও নেই।
হঠাৎ ইঞ্জিন রুম থেকে মুখ কালো করে বেড়িয়ে আসলেন রায়ান আংকেল..!
বাবাকে বললেন, সামনে না কী খুব বড় একটা প্রানী আছে।
বাবা জিজ্ঞেস করল, কী করে বুঝলেন..?
রায়ান আংকেল বললেন, ওটা ক্রমেই তার জায়গা পাল্টাচ্ছে। আর ওটার আকার আমাদের এই জাহা থেকে কয়েক গুন। ও যদি নিজ ইচ্ছায় না সরে তবে এই জাহাজ।কে আর কেও ই
!
বাচাতে পারবে না।
বাবা বলল,জাহাজের স্পিড কমিয়ে দিন আর দিক পাল্টাবেন না।
আমি আর রো নাল্ড দু জনেই ভাবছি কী এমন প্রানী যা এত্ত বড় জাহাজ থেকে কয়েক গুন বড়..?
১০:৩০ (যাত্রার দিন),
ঘুমাতে যাব এমন সময় রায়ান আংকেল বাবাকে বললেন,প্রানী টা জাহাজে আঘাত করছে।
বাবা আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা বড় নিঃশ্বাস নিল।
চলবে কী...?..?
[এটা একটা মারমেইডক( মৎস্য কন্যা)এর গল্প, আগে কেও ট্রাই করেনি আমি ই তাই শুরু করলাম সাড়া পেলে চালিয়ে যাব ]
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 1 টি আছে।
Need Login or Sing Up