বড়লোকের মেয়ে যখন রিকশাওয়ালার প্রেমে...! secret writer. ৭ম পর্ব...
লেখক: SMsudipBD About 2020s ago |
👉(💝💝যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা আমাকে Add বা flow করুন যাতে এইরকম আমার আরো গল্প পড়তে পারেন সবার আগে💝💝)👈
👇
👇
বড়লোকের মেয়ে যখন রিকশাওয়ালার প্রেমে...!
secret writer.
৭ম পর্ব...
আমি আর কথা না বাড়িয়ে পড়াইতে লাগলাম।যেগুলো নেক্সট দিনের পড়া ছিলো সেগুলো দুইজনেরই পড়া হলো।তারপর পড়া শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম,।
মাথার শুধু একটায় চিন্তা হচ্ছে,
নিলা তো এমনিতেই আমার থেকে এগুলো বুঝিয়ে নিতো।তারপরও কেন.........
এদিকে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে যা দেখলাম, তাতে তো আমার চোখ কপালে উঠে গেলো,
আমি বাসায় ঢুকে দেখি যে,
নিঝুম এর গায়ে নতুন জামা।আম্মু নতুন শাড়ী পরে আছে।কিন্তু এগুলো তো আমি কিনে দিই নি।তাইলে এগুলো কই পেলো???
এই রকম নানান প্রশ্ন আমার মনের উকি দিচ্ছিলো।আম্মুকেও জিজ্ঞেস করতে পারছিলাম না।তাই নিঝুম কে ডাকদিলাম।
-এই নিঝুম এইদিকে শুনো.. (আমি)
-কি ভাইয়া, তোমার নতুন জামা খুজছো???
তোমার রুমে রাখা আছে। (নিঝুম)
-এই নতুন জামা কাপড় কে দিয়েছে???(আমি)
-কেন নিলা আপু...(নিঝুম)
আমি এইটা শুনে খুব বড় একটা শক খেলাম।নিলা এগুলো দিয়েছে মানে??? আম্মুর কাছে গেলাম।
-আম্মু এইগুলো কই পাইলে?? (আমি)
-কেন বাবা, তুইই তো নিলাকে বলেছিলি এগুলো দেওয়ার জন্য।আর তাই নিলার ড্রাইভার এসে এগুলো দিয়ে গেছে,তুই যাওয়ার পর।(মা)
-কি বলছো এইসব মা! আমি নিলা কে বলেছি মানে! আর নিলাকে চিনলে কিভাবে?? (আমি)
-কেন বাবা তুই যখন ঘুরতে গিয়েছিলি। তখন নিলাকেই তো বলেছিলি যেন আমাদের দেখা শুনা করে। ও আমাদের বাসায় আসছিলো। কতই না লক্ষী মেয়ে একটা। (মা নিলার প্রশংসা শুরু করছে)
আমি এইদিকে ভাবছি,
নিলা এগুলো কি করছে। এদিকে জুম্মার নামাজ পড়ার সময় হয়ে গেল।তাই নামাজে গেলাম।কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি নিলার আব্বু।নামাজ শেষে আনকেল কে সালাম দিলাম,
-আসসালামু আলাইকুম,আনকেল কেমন আছেন???(আমি)
-ওয়ালাইকুম আসসালাম, বাবা ভালো আছি..তুমি কেমন আছো (আনকেল)
-আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি,
আনকেল আপনাকে তো এই মসজিদে তেমন দেখি না। আজ....(আমি)
-আসলে বাবা এই দিকে একটা কাজ ছিলো, আর নামাজেরও সময় হয়ে গেল। আর তাই এইখানেই নামাজ আদায় করলাম।(আনকেল)
-ওহ,,,,আনকেল আমাদের বাসায় চলেন। (আমি)
-না নিলয়, অন্যদিন যাবো। বরং তুমিই আমাদের বাসায় চলো। সেইদিন তো চা বা কফি কিছুই খাওনি।আজ আর তোমাকে ছাড়ছি না। (এই বলে আনকেল হাত ধরে আমাকে গাড়িতে বসতে বল্লো)
কিছুক্ষণ পর নিলার বাসায় চলে আসলাম।নিলা তো আমাকে দেখে অনেক খুশি।(এইটা তার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম)
তারপর আনকেল বল্লো নিলার সাথে বসে গল্প করতে। আমি হ্যা সম্মতি দিয়ে নিলার সাথে গেলাম।এদিকে আমার মাথায় তো অন্য কিছু গুরপাক খাচ্ছে। এক সময় নিলা কে জিজ্ঞেস করলাম,
-নিলা এইসব কি হচ্ছে.... (আমি)
-কি??(নিলা)
-কেন তুমি বুঝতে পারছো না....! (আমি)
-না আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। (নিলা)
-এইযে তুমি আমাকে রিকশা চালাইতে নিশেধ করলে, আবার টিউশনি করতে নিশেধ করলে, কেন??(আমি)
-জানি না। (নিলা)
-আমি অনেক রেগেই এবার বললাম, কেন এগুলো করছো তুমি??(আমি)
-কেন করছি জানতে চাস বান্দর,,,,,
কারন আমি তোকে ভালোবাসি কুত্তা। আর তুই অন্য কারো কাছে যা এইটা আমার ভাল লাগে না। আর এই কারনেই তোকে অইগুলো বাদ দিতে বলছি।আমি জানি তুই এমনি টাকা নিবি না। আর তাই তোকে আমাকে পড়ানোর জনহ বলছি। (নিলা,অনেক রেগে গিয়ে বল্লো কথা গুলো)
আমি তো কিছুই ভাবতে পারছি না। আমার মতো একটা গরীব কে নিলা ভালো বাসে।এইটা কি করে সম্ভব। আমিও মেয়েটারে ভালোবাসি,কিন্তু প্রকাশ করি নি। কারন, আমি তাকে ভালবেসে বিয়ে করে ঘরে তুলে খাওয়াবো কি?? তার আবদার কি করে পুরন করবো??? আর তাই নিলাকে বললাম,
-দেখো নিলা... আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আর এগুলো বন্ধ করো প্লিজ। (আমি)
-কি বললি তুই, আমাকে ভালোবাসিস না তাই না! (নিলা)
-হ্যা বাসি না,এটা সম্ভব না। (আমি)
-অই কুত্তা ভালবাসিস না তো, সেইদিন কেন আমাকে তোর নোট দিয়ে বাঁচিয়েছিলি? কেন দিনের পর দিন স্যারের সবার সামনে অপমান করার পরও কিছু বলিস নি বল??? (নিলা এবার কান্না করে)
আমি তার কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সেইখান থেকে চলে আসলাম।নিলা পিছন থেকে অনেক ডাকলো, কিন্তু পিছনে ফিরে তাকালাম না। কারন, তার চেহারাটা মায়ায় ভরা। বড়লোক মেয়েদের মায়াবী চেহারার প্রেমে পড়া ঠিক না।
বাসায় এসে খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম,কি করা যায়। আর তাই ডিসিশন নিলাম,বাইরে কোথাও যাবো। যেন নিলার মাথা থেকে ভুত টা নামে। কিন্তু যাবো কিভাবে আমার কাছে তো তেমন টাকাও নেই, কি করা যায়।
কিছুক্ষণ পর আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়লো। তার কাছে গেলে খারাল হয় না। তাই তার কাছে ফোন করে বললাম তার কাছে কিছুদিন থাকা যাবে কি না.? সে বল্লো কোন সমস্যা নাই।
তাই তার কাছেই চলে গেলাম। আর এইভাবে নিলার সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়ায় চলে গেল তিনদিন। এই তিনদিন ফোন বন্ধ করে রাখছিলাম।
তিনদিন পর যখন ফোন অন করলাম তখন দেখি অনেক ম্যাসেজ। যেখানে বেশিরভাগ ছিলো,
নিলয় আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না।
নিলয় আমি কিন্তু সুইসাইড করবো।
নিলয় তুই কোথায়।
নিলয় আমি মরে যাবো কিন্তু।
এইরকম আরো অনেক ম্যাসেজ।
কিছুক্ষণ পরে একটা কল আসে,
-হেল্লো নিলয় তুমি কোথায় বাবা, তাড়াতাড়ি চলে আসো। নিলার অবস্থা খুব খারাপ। (ফোনের অই পাশ থেকে, যতসম্ভব নিলার বাব।)
-কি হয়েছে নিলার??(আমি)
-বাবা এতো কিছু বলার সময় নেই। টুমি তাড়াতাড়ি এই হসপিটাল এ চলে এসো।(আনকেল)
আমি আনকেল।এর দেওয়া হসপিটাল এ চলে গেলাম।সেখানে গিয়ে দেখি, আনকেল খুব কান্না করতেছে। আমি আনকেল কে জিজ্ঞেস করলাম,
-আনকেল নিলার কি হয়েছে..? (আমি)
-বাবা সেইদিন তুমি বাসা থেকে যাওয়ার পর থেকে নিলা কিছুই খাই নি।শুধু তোমার কথায় বলে। তোমাকে ছাড়া ও কিচ্ছু খাবে না। খুব কান্না করে, আর আজ কে দেখি নিলা তার রুমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। আর হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে।(আনকেল, কাদতে কাদতে)
-আনকেল এখন কি অবস্থা নিলার। (আমি)
-জানি না বাবা। (আনকেল)
কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এলো, আমি উনার কাছে যেতেই উনি বললেন,
-এইখানে নিলয় কে???(ডাক্তার)
-জি আমি। (আমি)
-পেসেন্ট আপনার সাথে দেখা করতে চায়।(ডাক্তার)
তারপর আমি ভিতরে গেলাম।ভিতরে গিয়ে দেখি, মেয়েটা শুকিয়ে গেছে।চোখ গুলো অনেক ফুলে ফুলে আছে। আমি যেতেই নিলা মুখ টা ফিরিয়ে নিলো অন্যদিকে। আমি মনে মনে বললাম, এইটা ছাড়া আমার কোন উপাই ছিলো না নিলা।তারপর আমি নিলা কে ডাক দিলাম,
-নিলা এই নিলা, এইদিকে তাকাও প্লিজ (আমি)
-..........নিলা
-প্লিজ নিলা আমাকে মাফ করে দাও।আমি তোমাকে ছেড়ে কোত্থাও যাবো না প্রমিস। (আমি)
এবার নিলা আমার দিকে তাকালো। মেয়েটা এখনো কান্না করেই চলেছে।
-তুমি কোথায় ছিলে নিলয়?? (নিলা, কান্না)
-আমি.....(কি উত্তর দিবো তাকে)
-আমি কি ভুল কিছু করেছি নিলয়।আমি তো তোমাকে ভালোবাসি নিলয়।(নিলা)
-আমিও তোমাকে ভালোবাসি নিলা।(এইবার কেঁদেই দিলা।নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না।)
-তাহলে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে কেন?(নিলা)
-নিলা আমি তোমাকে বিয়ে করে কোথায় রাখবো বলো। এগুলো চিন্তা করেই আমি চলে গিয়েছিলাম।(আমি)
-আমি তো কিচ্ছু চাই না নিলয় আমি শুধু তোমাকে চাই শুধু তোমাকে। (নিলা।)
নিলয় একটা কথা বলবো,
আমার মাথা বেথ করছে। তুমি আমার হাত ধরে একটু বসে থাকবে। একটু ঘুমাবো আমি।(নিলা)
আমি মাথা নাড়া দিয়ে হ্যা বোধক উত্তর দিলাম।তারপর নিলার হাত ধরে সেইখানে বসে থাকলাম।কি মায়াবী চেহারা। একটা অবুঝ বাচ্চার মতো লাগছে। নিজের প্রতি নিজের ঘ্রিনা হচ্ছে।এতোদিম যে বড়লোকদের প্রতি আমার খারাপ ধারনা ছিলো,সেইটা যে ভুল নিলা তা প্রমান করে দিলো।নিলা ঘুমিয়ে পড়লে আমি বাইরে গেলাম। আনকেল আমার কাছে এসে,
-বাবা নিলা তোমাকে অনেক ভালোবাসে।বাবা আমার মেয়ের কোন আবদার আমি অপুরন রাখি নি। যখন যা চেয়েছে,দিয়েছি। প্লিন নিলয় তোমার কাছে হাত জোর করছি আমার মেয়েটারে ফিরায় দিওনা।(আনকেল)
-আনকেল আমি নিলাকে কোথায় রাখবো। আমি কিভাবে তার চাওয়া পাওয়া পুরন করবো???(আমি)
-বাবা তুমি চিন্তা করো না। আজ থেকে তুমি আমার কোম্পানির সিও। আমার কিচ্ছুর দরকার নাই। শুধু আমাই চাই আমার মেয়েটা ভালো থাকুক।(এই বলে নিলার আব্বু খুব কান্না করতে লাগলো)
আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।তারপরও আনকেল কে সান্তনা দেয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলাম।কিন্তু এই সান্তনা যে সত্যি হয়ে যাবে তা ভাতেও পারি নি। কিছুদিন পরে নিলা সুস্থ হয়ে উঠে। তারপর নিলার সাথে আমার বিয়ে হয়। এখন নিলার সাথে আমার সংসার।ভাবতেই অবাক লাগে এইটা সেই নিলা, যে নিলা আমকে ফকিন্নি বলে গালি দিতো। জানতাম না,, বড়লোকেরও একটা মন থাকে। এই নিলা আমাকে বুঝিয়ে দিলো। আজ আমাদের সুখের সংসার।নিলার বাবার কোম্পানির সব দায়িত্ব এখন আমার কাছে। নিলা আমার মা বোনেরও খুব খেয়াল রাখে।
-নিলয় এই নিলয় কই তুমি(এই দেখেন আমার বউয়ের ডাক পড়েছে। আমার লক্ষি বউ ডাকছে। এখন আমি যাই।আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ,এতোদুর পর্যন্ত পড়ার জন্য।)
-এইতো আসছি বউ দাড়াও।(আমি)
-এই কুত্তা সেই কখন ডাকছি। এতক্ষণ এ সময় হলো উত্তর দেওয়ার। (নিলা)
-😒😒😒😒😒😒😒😒😒😒
---------------The end-----------;
(এই গল্প টি তাদের জন্য, যারা মনে করেন বড়লোকের মেয়েরা খুব খারাপ হয়।তাদের মাঝে ভালোবাসা নামক কোন জিনিস থাকে না। তারা খুব অহংকারী হয়।হ্যা ভাই আপনার কথাও ঠিক। তবে তাদেরও একটা মন আছে, আর সেই মনটা একটা ভালোমানুষ এর আশায় বসে থাকে।মনে রাখবেন, বড়লোকের মেয়েরা কিন্তু বেশি ভালোবাসার কাঙাল হয়। ধন্যবাদ সবাই কে।)
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up
কোন মন্তব্য নেই।