[GOLPO] Bondhutbo Part:02 গল্পঃ বন্ধুত্ব। পর্ব ২ (শেষ পর্ব)
লেখক: SMsudipBD About 2020s ago |
_ অভক নিজ কর্যাক্রমে চলে গেলেন কাজে মন নেই তার।
_ নিতান্তই আজকালের বিষয় গুলো ভাবাচ্ছে তাকে।
_ প্রায় পনেরো দিন চলে গেলো মেয়েটার দেখা আর মিললো না।
_ সন্ধায় অভি বললো মা, যদি কেউ আমায় বাজে পস্তাব দেয় তাহলে কি করা উচিৎ আমার?
_ দেখো বিষয়টা যত সহজে এক্সেপ করা যায় কিন্ত তত সহজে সমাধান দেওয়া যায় না মানুষের কথার মাঝে লুকিয়ে থাকে হাজারো রহস্য, কে জানে কে কি বলে তাই আগে জানা উচিৎ তার কথার পেছনের উদ্দেশ্য কি তারপর তোমার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।
_ অভির দিন গুলো কেমন যেন বিষাদে ছেয়ে যাচ্ছে কারণ কেন যেন মনে হল সে মেয়েটার সাথে যে আচরণ করছে তা ঠিক হয়নি।
_ পরের দিন অফিস থেকে ফিরার পথে রাফি মেয়েটার দেখা পেলো।
_ মেয়েটা একজন ছোট বাচ্চা নিয়ে হেটে যাচ্ছে বেশ খুশ মনে তখন আমি ডাক দিলাম এই যে শুনছেন?
_ মেয়েটা আমার দিকে চোখ ভুলিয়ে হাসিমাখা মুখে বললো আরে স্যার আপনি?
_ হ্যাঁ কেমন আছেন?
_ এই তো স্যার মহান মালিক ভাল রাখছেন।
_ আপনাকে বলেছিলাম আরেকদিন অফিসে যেতে কিন্ত তার পর আর দেখাই মিললো না আপনার।
_ স্যার চাকরীটা তখন বড্ড দরকার ছিল তাই গিয়েছিলাম আপনার কাছে, কিন্ত এখন আর দরকার নেই।
_ তার মানে চাকরীটা যদি সে দিন হয়ে যেত তাহলে এখন ছেড়ে দিতেন?
_ না তখন জবটা হয়ে গেলে বিকল্প কিছু করার চিন্তা আসতো না মাথায়।
_ অভি ঈষৎ রেগে বললেন অন্য কোথাও এর মাঝে যব ম্যানাজ করে নিয়েছেন?
_ স্যার চাকরীর বাজারটা আজকাল সোনায় মোড়ানো হরিণের চেয়ে অনেক দামী বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন রকম চাহিদা, আর আমার মত সাধারণ মানুষের এতটা দিক ম্যানাজ করা পসিবল না।
_ তাহলে কি করেন?
_ স্যার গ্রামের মেয়ে আমি টুকটাক গ্রামীণ কাজে দক্ষতা আছে তাই ঐটাই কাজে লাগাই।
_ কি করেন?
_ নকশিকাঁথা বানাতে জানি, আর একজন আন্টি আছে উনি সব করেন আমি শুধু কাজটা করে যাই।
,,, আপনার এই বয়সে রোজগার করার এত তাড়া কেন?
_ স্যার নিজের বিষয় গুলো নিজের কাছেই থেকে যাক আমি যাই আজ।
_ শুনোন।
_ জ্বী বলুন।
_ আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই।
" বিপদে মোড়ে রক্ষা করে এ নহে মোড় পার্থনা, কবি গুরুর এই, কথাটা জানেন তো?
_ অভি আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল, সময়ের সাথে সাথে অভির মনে মেয়েটার ব্যাপারে কিউরিয়াস বাড়ছ।
_ বিকালবেলা অভি বাড়ি ফিরে আম্মুর সাথে রান্নাকরা শিখছে, এমন সময় অভির আম্মু বললো আর কত দিন একা থাকবি একটা বিয়ে করে নে না বাবা।
_ হ্যাঁ তাই ভাবছি মা।
_ মজার ব্যাপার হল মেয়েটির খোজঁ খবর অভি প্রায় নিলে ও মেয়েটির নাম জানা হয়নি আজ তা জেনে নিলো ইসরাত নাম, ধীরেধীরে ইসরাতের প্রতি অভির দূর্বলতা সৃষ্টি হয় তাই অভি ভাবলো এবার ইসরাতকে, বিয়ের কথা বলবে আর তাই পরের দিন বিকালে অভি ইসরাতকে কফির দাওয়াত করলো।
" অভি অধীর আগ্রহে আজ ইসরাতকে কিছু বলতে চায়।
_ অভি কফি মুখে নিয়ে বললো স্যার বলুন।
_ অভি বললো আপনার কি কোন প্রেমিক ছিল?
[IMG]https://smsudipbd.wapkiz.mobi/download/dl4/2f217eac9682e3c6a7510965a795fff3/smsudipbd+wapkiz+mobi/-(smsudipbd.wapkiz.mobi).jpg[/IMG]
_ ইসরার হাসিতে ফেটে পড়লো, অভি কিছুটা ইতস্তত বোধ করলো, ইসরাত বলা শুরু করলো, ছোট থাকতে বাবা মারা যায়, আম্মুকে নানুরা নিয়ে অন্য জায়গাতে বিয়ে দেয় আমার দায়িত্ব এসে পরে কাকা কাকির ওপর ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় একজন স্যার আমায় পড়ানো শুরু করে কখনো টাকা নেননি, জানতে চাইলে বলতো না ,, হুট করে কাকির কাছে তিনি আমায় বিয়ের পস্তাব পাঠন সে খান থেকে আর পড়তে যাইনি।
_ ক্লাস নাইনে থেকে এলাকার ছেলেরা জ্বালাতন করতো মেয়ে বলে কিছু বলতে পারতাম না, চোখেরজল অনেক ঝড়েছে, জানেন স্যার আমরা মেয়েরা না এই শরীরটা কে ঘৃণা করি শরীরটা না থাকলে হয় তো এত অপমান অত্যাচার সহ্য করতে হত না।
_ কলেজে ফাস্ট ইয়ারে যখন ভর্তি হলাম আমাদের একজন টিচার আমায় প্রপোজ করে, আমি সরাসরি রিফিউজ করাতে প্রায় দিন ক্লাসে অপমান সহ্য করতে হত, সব থেকে বড় ধাক্কাটা লাগে আমি যখন ইন্টার ফাইনাল ইয়ারে এক্সাম দেই, এলাকার এক নেতা কাকার জমিজায়গা হাতিয়ে নিয়েছে প্রস্তাব এসেছে আমায় বিয়ে দিলে ফিরিয়ে দিবে, কাকা কাকি আমার পেছন উঠে পরে লাগলো আমি বলছিলাম এক্সামের পর বিয়ে করব, এক্সাম শেষ হলে আমি পালিয়ে আসি এখানে, আমার এক বান্ধবী এখানে থাকে পাশে একটা গার্মেন্টেসে চাকরী করে তা দিয়ে তার পরিবারে ও চলে না তার ওপর আমি তাই আমি নেমে পরি চাকরীর খুঁজে, যে খানে যাই সবাই আমার দিকে নয় শরীরের দিকে তাকায় আর একের পর এক এমন হওয়ার পর চাকরী খুঁজা বন্ধ করে দিলাম কিন্ত জাদের নুন আনিতে পান্থা ফুরায় তাদের যে পেট বাঁচাতে হয়, তাই ভাবলাম এত দিন যা ঘৃণা করতাম এবার তাই শুরু করি, আপনার অফিসে গেলাম বাকিটা তো জানেন, স্যার জানেন পুরুষদের আমি বড্ড ঘৃণা করি এরা নরম শরীরের স্বাধ নিতে পছন্দ করে কিন্ত সে মানুষ তা কখনো চিন্তা ও করে না, বিয়ে প্রেম এসব দেখে আসছি ছোট থেকে এখন এসব যারা বলে তাদের ঘৃণা লাগে আগে নিজে কিছু করি তারপর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই,।
_ ধ্যাত স্যার আপনি কি জন্য ডেকেছেন তা না শুনে আমি নিজেই বকছি, বলুন স্যার আজ এখানে ডাকার উদ্দেশ্য কি?
_ অভি উত্তরে কি বলবে যানা নেই, কারন ইসরাতের মনে পুরুষদের প্রতি যে ঘৃণা জন্মেছে তা হয় তো কোন দিন ও মুছা যাবে না অভি বললো আমি আপনার বন্ধু হতে চাই ইসরাত।
_ কি বলেন স্যার!
_ কেন পারি না বন্ধু হতে?
_ না মানে স্যার,,,,,,,,,,।
_ বন্ধু হিসেবে চাইলে হাত বাড়াতেই পারো।
_ ইসরাত মিষ্টি হাসি দিয়ে সম্মতি জানালো আজ থেকে শুরু হল নতুন একটা গল্প বন্ধুত্ব।
_ সমাপ্তি
{প্রিয় পাঠক মহল আপনারা যারা যারা গল্পের জন্য নাম সাজেস্ট কিরেছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং ক্রিতজ্ঞতা , আপনাদের সাজেস্ট করা নামের মধ্যে থেকে এই গল্পের চরিত্রের নাম নেউয়া হয়েছে এছাড়া পরবর্তী গল্পেও আপনাদের সাজেস্ট করা অন্য কোনো নাম ব্যবহার করে চরিত্র তুলে ধরব।
নাম রেফারেন্স @Israt Jahan
.jpg)
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up
কোন মন্তব্য নেই।