ম্যাডামের সাথে প্রেম | লেখক আকাশ আহম্মেদ | part:01
লেখক: SMsudipBD About 2020s ago |
ম্যাডাম বিরক্ত হয়ে লাস্ট বেঞ্চের দিকে তাকালেন।লাস্ট বেঞ্চ বেয়াদব ছাত্রদের আড্ডাখানা।
তিনি রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে লাস্ট বেঞ্চের সামনে এসে দাঁড়ালেন।দুটা ছেলে দুটা মেয়ে পাশাপাশি বসে হাসাহাসি করছে।ম্যাডামকে দ্যাখে তাদের হাসি বন্ধ হয়ে গেল।
ম্যাডাম অসহ্য রূপবতী। বয়স ২৯।অবিবাহিত। ম্যাডাম রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললেন,দাঁড়াও।
চারজন দাঁড়ালো।
ম্যাডাম চারজনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বিরক্তগলায় বললেন,কথা বলছিলে কেন? ঢাকা ভার্সিটি কি কথা বলার জায়গা...?
ছেলে দুটার মধ্য থেকে আমি বললাম, ম্যাডাম, আমি জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটি-তে পরীক্ষা দিয়েছিলাম।
সেখানে একটা না চারটা দেয়ালে বড়করে লেখা ছিল, 'চুপ থাকলে ভাল লাগে'! কিন্তু ঢাকা ভার্সিটি আমরা পুরাটা ঘুরে কোথাও এই লেখাটা দ্যাখলাম না।তাই মনে হচ্ছে,ঢাবি কথা বলারই জায়গা।
ম্যাডামের চোখমুখ শক্ত হয়ে গেল।কি বেয়াদবের মতো কথাবার্তা!ভার্সিটি ছাত্রের গায়ে হাত তুলতে নেই।কিন্তু তার মনে হচ্ছে,আমাকে ধরে আচ্ছামতো একটা ছেঁচা দিতে পারলে দিলটা ঠান্ডা হতো।
ম্যাডাম রেগে রেগে বললেন,আমার সামনে ওভার স্মার্টনেস দ্যাখাবে না,এটা আমার খুব অপছন্দ। বুঝলে?
আমি আবার হাসি হাসি গলায় বললাম, ওভার স্মার্টনেস কোথায় দ্যাখালাম,ঠিক বুঝলাম না।যেটা সত্য,সেটাই বললাম।
আমার পাশে তপু দাঁড়িয়ে ছিল।ম্যাডাম তার দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার নাম?
তপু দ্রুত উত্তর দিল, গাঁজাবাবা।
উত্তর দিয়েই চুপ হয়ে গেল,মুখ থেকে ফস করে শব্দটা বের হয়ে গেছে।ম্যাডাম হতভম্বের মতো তার দিকে তাকিয়ে আছেন।কি অদ্ভুত নাম হয় আজকালকার ছেলেমেয়েদের, কয়দিন পর তো 'What the fuck'ও একটা নাম হয়ে যাবে!তখন সেটার জেন্ডার কি হবে...?
ম্যাডাম অবাকগলায় বললেন,তোমার নাম গাঁজাবাবা কেনো? গাঁজা বেশী খাও,এজন্য?
তপু থতমত খেয়ে বলল, ম্যাডাম আমার নাম, তানভীর হাসান তপু।বন্ধুরা ডাকে, গাঁজাবাবা।কতদিন নিজের নাম শুনি না।সবার মুখ থেকে এই নামটা শুনতে শুনতে আসল নামটা প্রায় ভুলেই গেছি।
ম্যাডাম অস্বস্তি নিয়ে আমাদের দ্যাখছেন।আমার ভীষণ ভালই লাগছে।ভার্সিটিতে সুন্দর ম্যাডাম না পেলে দমবন্ধের মতো অবস্থা হতো।ম্যাডাম আমার দিকে তাকিয়ে শান্তগলায় বললেন, খুব কষ্ট লাগে কখন জানো?
যখন অনেক কষ্ট করে তোমাদের পড়াই,অথচ তোমরা তা বুঝতে চেষ্টা না করে নিজেদের মধ্যে গল্প করো।তোমরা তো আমার কষ্ট বুঝবা না।কারণ তোমাদের কোনও কষ্ট নেই।
আমি অপমানবোধ করে বললাম, ম্যাডাম, আমারও কষ্ট হয়, যখন দ্যাখি এত কষ্টকরে লেখা আমার গল্পটা কপি পেস্ট হয়ে গেছে!
ম্যাডাম চোখমুখ লাল করে বললেন,তুমি খুব অতিমাত্রায় বেয়াদব একটা ছেলে।কোন কলেজে ছিলে?
সরকারি বিজ্ঞান কলেজ।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের কি সবগুলা স্টুডেন্টই তোমার মতো এমন পেইন?
না ম্যাডাম,কিছু পেইন কিলারও আছে।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন,ওরা কেমন?
খুব ভাল ছেলে ম্যাডাম।নিয়মিত ক্লাস করে,পড়া নোট করে, হোমওয়র্ক করে।
কলেজে উঠেও ক্লাস মিস দিলে প্রাইমারি বাচ্চার মতো দরখাস্ত লিখে,মাগরিব এর আযান দিলে ঘরে ফেরে।ভূমিকম্প না হলে রাতে বাসা থেকে বের হয় না, টঙ দোকানে দাঁড়িয়ে চা খায় না, কলেজে উঠলেও মা এখনও তাদেরকে বলেন,বাবা,আজ ক্লাসে মিস কি পড়িয়েছেন?
দ্যাখেন অবস্থা, ছেলে কলেজে পড়ে,তবুও মা ছেলের কলেজের খাতা চেক করে!!! মা কলেজে দিয়ে যায়,নিয়ে যায়।মেয়ে দ্যাখলে সিটি দেয়া তো আকাশের চাঁদ, উল্টো দাঁড়িয়ে সম্মান জানায়।ম্যাডাম, এরাই হচ্ছে, পেইন কিলার।
ও আচ্ছা, এধরণের ভালো ছেলেদের তোমাদের মতো ব্যাকবেঞ্চারদের কেন পছন্দ হবে? ওরা তো ভাল ছেলে, তোমাদের মতো বেয়াদব না।আমার খুব লজ্জা হচ্ছে,তোমাদের মতো ছেলে আমি ঢাবিতে পেয়েছি।
আমি অপমানবোধ করে বললাম,আমারও খুব লজ্জা হচ্ছে ম্যাডাম।
ভ্রু কুঁচকে তিনি বললেন, কেন?
আমি দুই নম্বরের জন্য বুয়েটে চান্স পাই নি।নইলে কি আর ঢাবিতে পড়ে থাকতাম!
তো বের হয়ে যাও না।বসে আছো কেন?
আমরা নিশ্চুপ।
ম্যাডাম একটু সময় নিয়ে বললেন,জীবনে কি হতে চাও?
আমি বললাম, লেখক।
তিনি অবাক হয়ে বললেন, লেখক!? লেখকরা কি ভাত খেতে পারে?
আমি একথায় সামান্য অপমানবোধ করলাম,কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম, ম্যাডাম আমি বাসমতী চালের ভাত খাই।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন,কি চাল?
বাসমতী চাল।
ফাযলামী করো আমার সাথে?
আমি শান্তভাবে ব্যাগ থেকে এককেজি বাসমতী চাল বের করে ম্যাডামকে দ্যাখালাম।ম্যাডাম হতভম্ব হয়ে গেলেন।
কিছুক্ষণ আমার দিকে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে থেকে বললেন, তুমি বাসমতী চাল ব্যাগে নিয়ে ঘুরছো কেন?
অনেকে বিশ্বাস করে না যে, লেখকরাও বাসমতী চালের ভাত খেতে পারে।
তুমি আস্ত একটা পেইন।এমন ইডিয়ট ছেলে আমি আগে কখনও দ্যাখি নি।
বিড়বিড় করে বললাম, আপনার বয়সও বা কত?
কি বললা তুমি?
না, কিছু না।
[IMG]https://smsudipbd.wapkiz.mobi/download/dl4/a3a2ef452763079f71f86605f2e7a01e/smsudipbd+wapkiz+mobi/-(smsudipbd.wapkiz.mobi).jpg[/IMG]
আমার পাশে লিজা আর হৃদি দাঁড়িয়ে আছে।তারা আমার দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছে মনে হচ্ছে যেন আমার কারণেই দাঁড়িয়ে আছে।নিজেদের কোনও দোষ নেই।তারা দুগ্ধ শিশু।
ম্যাডাম রাগে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, তোমাকে দশটা প্রশ্ন করবো।সবগুলার উত্তর দিতে না পারলে তোমরা চারজন সারা ঢাকা ভার্সিটি কানে ধরে হাঁটবে।
আমি হাসি হাসি মুখ করে বললাম, আর সবগুলার উত্তর পারলে?
ম্যাডামও হাসিমুখে বললেন,আমি বই থেকে প্রশ্ন করব না।কোথা থেকে করব তাই ভেবে কূল পাবা না,আর তোমার মতো পেইন সবগুলার উত্তর পারবে...! হাসালে...
যদি পারি? আত্মবিশ্বাসের সাথে বললাম।
তাহলে তোমার দুটা ইচ্ছে পূরণ হবে।
গোটা ক্লাস আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।সবাই বেশ মজা পাচ্ছে। কৌতুহল জাগছে, আমি কি চাই।আমি হাসিমুখে বললাম, আমার প্রথম ইচ্ছে আপনার সাথে কক্সবাজার ডেটিং-এ যাব।মেয়াদ -তিনদিন। আর...
আর...?
দ্বিতীয় ইচ্ছে, আপনার ঠোঁটে চুমু খাব।
পুরো ক্লাস আমার কথায় হতভম্ব হয়ে গেল।ভেবেছিলাম,আমার এই আবদারে ম্যাডাম ভয় পেয়ে যাবেন।কিন্তু তিনি ভয় পান নি।তিনি একপ্রকার ধরেই নিয়েছেন,আমি তার কোনও প্রশ্নেরই উত্তর পারবো না।
.
গল্পঃ ম্যাডাম
১ম পাঠ
.
.
বিঃদ্রঃএই গল্পটা শুধু মাত্র সবার মজা দেওয়ার জন্য,,,,অনুগ্রহ করে কেই খারাপ ভাবে নিবেন না.....
...........২য় পাঠ আসছে শীঘ্রই...........
.jpg)
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up
কোন মন্তব্য নেই।