[Love] কটি বৃষ্টিভেজা রাত (season 2) পর্ব ৬
লেখক: admin About 2020s ago |
কটি বৃষ্টিভেজা রাত (season 2)
পর্ব ৬
#Neer_Nilavro
এমন সময় দরজায় কে যেন শব্দ করলো কয়েকবার।নীলাম্বরী বিরক্ত হয়ে ববলল,ধুর।আসার আর সময় পেলো না।
লাইট জ্বালিয়ে দরজা খুলে দেখি ম্যানেজার সাহেব এসেছে।হাতে করে এনেছে একটা সুন্দর শাড়ি।সেটা আমার হাতে দিয়েই উনি চলে গেল।
নীলাম্বরী অবাক হয়ে বলল,শাড়ি! তুমি আনতে বলেছিলা?
- হুম।
ও অবাক হয়ে বলল,কখন বললা?
- তখন লাইট নেভানোর সময় এক ফাকে বাইরে গিয়েছিলাম। খেয়াল করোনি বোধহয়।
নীলাম্বরী অবাক হয়ে বলল,আমি ভিজতে চেয়েছি বলে তুমি শাড়ি আনতে বলেছ! ওয়াও! তুমি এত সুইট কেন বলোতো?
নীলাম্বরী খুশি হয়েছে ভীষণ।ওর আনন্দ দেখে আমার মনটা ভরে গেলো।আমি বললাম, তুমি ভিজতে খুব পছন্দ করো আমি জানি।সেদিন রাত্রে কত খুশি হয়েছিলা ভিজতে পেরে।ভিজেছো,গান গাইছো,আনন্দে নেচেছো।আমার তো দেখেই সুখে মন ভরে গেছিলো গো।
নীলাম্বরী খুশি খুশি গলায় বলল,তাহলে এখন ভিজি?
- হ্যা ভিজো।
- আর তুমি? তুমি ভিজবে না?
- না গো।আমি ভিজবো না।তুমি একাই ভিজবে,আমি দেখবো।
- সেকি! কেন?
- আমার তো আর ড্রেস নেই।তাছাড়া আমার একটু ঠাণ্ডা লেগেছে।
- আচ্ছা তাহলে তুমি দেখো আর আমি ভিজি?
- ওকে।চলো।
.
নীলাম্বরী কে নিয়ে বাইরে আসলাম।বাইরেও লাইট জ্বলছে।বিদ্যুৎ নেই,তাহলে কিসের আলো জ্বলছে বুঝতে পারলাম না।নীলাম্বরী বারান্দা থেকে এক ছুটে নীচে নেমে গেলো। গিয়ে ভিজতে লাগলো খুব আনন্দের সাথে।জোরে জোরে গান গাইতে গাইতে নেচে নেচে ভিজতে লাগল।কারো বৃষ্টিতে ভেজার দৃশ্য এত সুন্দর হতে পারে আমার জানা ছিলোনা।ওকে খুবই উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছে!
নীলাম্বরী ভিজছে আর পানি ছিটিয়ে খেলা করছে।আমি বারান্দায় হেলান দিয়ে ওর ভেজার দৃশ্য দেখছি।
ও অনেক্ষণ ভিজলো।চুল গুলো নাড়াচ্ছে বারবার, দুহাত নেড়ে নেড়ে নৃত্য করছে।সত্যিই এই দৃশ্য অনেক সুন্দর! এ জন্যই অনেক সিনেমায় বৃষ্টিতে ভেজার কাহিনী উল্লেখ করা হয়।এবার বুঝতে পারলাম।
নীলাম্বরী ছুটে এসে বারান্দার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,ভিজবে?
- না গো।
- আসোনা একটু ভিজিয়ে দেই?
- উহু,তুমিই ভেজো। আমি দেখি এভাবে।
- ভালো লাগছে?
- হুম।
- তাহলে আরেকটু ভিজি?
নীলাম্বরী আবারো ছুটে গিয়ে বৃষ্টিতে থইথই পা ফেলে নৃত্য করতে লাগলো।তারপর ঘাসের উপর চোখ বুজে বসে রইলো অনেক্ষণ।আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি! আর ভাবছি,মানুষ এত সুন্দর হয় কি করে?
.
প্রায় ঘন্টাখানেকের মত ভিজলো নীলাম্বরী। ও তো আরো কিছুক্ষণ থাকবে বলছিল,আমিই জেদ করে ভেতরে আনলাম। বেশি ভিজলে অসুখ করবে আবার।এমনি তেই এক ঘন্টা ধরে ভিজেছে!
নীলাম্বরী হঠাৎ জামা বদলাবার জন্য প্রস্তত হলো।আমি দ্রুত বেড়িয়ে আসলাম রুম থেকে।অনেক্ষণ পর ওর ডাক শুনে ভিতরে এসে ঢুকলাম।
ও বলল,বাইরে গেলে কেন? তোমার সামনেই চেঞ্জ করতে পারতাম।
- না গো।তোমাকে লজ্জায় ফেলতে চাইনা।
- কিসের লজ্জা? আমি তো তোমার ই।
- তবুও...
নীলাম্বরী'র ভেজা চুলগুলো ওর মুখের উপর এসে পড়েছে।আমি মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছি।ওকে অপরূপ সুন্দর দেখাচ্ছে।এগিয়ে এসে আলতো করে ভেজা চুল গুলো সরিয়ে দিলাম।ও লাজুক ভাবে তাকিয়ে বলল,কি দেখছ এভাবে?
- অপূর্ব।
- আমি অপূর্ব নইগো।আমি নীলাম্বরী।
আমি হেসে উঠলাম। নীলাম্বরী মাঝেমাঝে খুব মজার মজার কথা বলে।আর হাসলেও ওকে দারুণ লাগে!
ভেজা চুল গুলো দুহাতে আস্তে আস্তে ঝাড়তে ঝাড়তে বলল,আজ অনেক্ষণ ভিজেছি।পরে জ্বর না এসে যায় গো..
- তোমাকে কতবার বললাম তাড়াতাড়ি এসো।বাট তুমিই কথা শুনলে না।
- কি করবো বলো? আমার তো আনন্দ পাওয়ার মত কিচ্ছু নাই গো।তোমার সংস্পর্শে এসেই যা আনন্দ পাচ্ছি।সেটা কি করে হাতছাড়া করি বলো?
আমি এগিয়ে এসে পিছন দিক থেকে ওকে জড়িয়ে ধরে ওর কাধে মাথা রেখে বললাম,তোমার জীবন টা অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে দেখে নিও।আমি তোমার জীবনের প্রত্যেক টা দিন এমন সুন্দর করে রাঙিয়ে দেবো।
- এই নীলাভ্র,আমরা কিন্তু বর্ষাকালে বিয়ে করবো।
- আর কদিন পরেই তো বর্ষা।
- তাহলে এখনি বিয়ে করে ফেলি?
- কিন্তু আমার তো চাকরী নাই।বিয়ে করে তোমাকে খাওয়াবো কি? তাছাড়া আমার বাসায় বললেও রাজি হবেনা।আগে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে,তারপর।
নীলাম্বরী বলল,সব হবে।একটু তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করে ফেলবে প্লিজ? নীলাভ্র সোনা আমার,জান আমার।
- হইছে হইছে।এত গুনগান করতে হবেনা।
নীলাম্বরী ক্ষেপে গিয়ে বলল,ঠিকাছে আমায় ছাড়ো তবে।তুমি তোমার মত শুয়ে পড়ো, আমি আমার মত শুয়ে পড়বো।ওকে?
- ওকে।
আমি এক লাফে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। নীলাম্বরী রেগে এসে আবারো আমার উপরে উঠে বসে বলল,কি হচ্ছেটা কি? আমার সাথে রাগ করার সাহস কে দিছে তোমাকে?
- নিজেই দিছো।
- আবারো মাইর খাবা কিন্তু।
আমি উঠে বসে বললাম, মাফ চাই বাবা।তোমার মাইর খুব লাগে আমার।মেরো না লক্ষিটি।
নীলাম্বরী হেসে উত্তর দিলো, গুড বয়।আমার জানুটা,
বলেই আমার গাল টেনে ধরলো।আমিও ওকে খুশি করার জন্য হাসলাম।
.
শাড়িটা পড়ে নীলাম্বরী কে দারুণ সুন্দর দেখাচ্ছে।অনেক মায়াবী চেহারা ওর।যেকোনো।ছেলেকে পাগল করার জন্য যথেষ্ট।
নীলাম্বরী বললো,এই নীল।
- বলো,
- তোমার প্রিয় রঙ কি?
- নীল।
- সত্যি! আমায় একটা নীল রঙ এর শাড়ি কিনে দিবা?
- অবশ্যই।
[IMG]https://dl4.wapkizfile.info/ddl/7f2b38e5d6c982caec98afc80065b65c/smsudipbd+wapkiz+mobi/6-(smsudipbd.wapkiz.mobi).jpg[/IMG]
- নীল শাড়ি,শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে চুড়ি,লিপস্টিক, টিপ সবই নিয়ে দিবা কিন্তু।
- আচ্ছা মহারাণী। অবশ্যই দিবো।
- এত সুখ কেন দিচ্ছো আমায়? জানো আমার লাইফে কষ্ট অনেক।অনেক কষ্ট সহ্য করে এতদূর আসলাম।এখনো প্রতিদিন কষ্ট সহ্য করেই যাচ্ছি।এত সুখ কি আমার কপালে সইবে?
- সইবে গো সইবে।
নীলাম্বরী লাইট নিভিয়ে দিয়ে এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো। তারপর বলল,জানিনা সইবে কিনা।কিন্তু খুব ভয় পাই হারানোর।আমাকে ভুলো না কখনো প্লিজ।
- ওহ হো,নীলা আবারো শুরু করলা? বললাম তো,চাকরি নিয়েই তোমাকে নিয়ে আসবো আমার কাছে।
- আমার ভয় করছে খুব।
- এদিকে আসো।আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে থাকো।
নীলাম্বরী আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো,আই লাভ ইউ নীলাভ্র।
আমি বললাম, তুমি কোনো চিন্তা করবে না।আমি তোমাকে অনেক সুখ এনে দিবো আমার পাগলী টা।
- এখন একটু এনে দাওনা।
- কিভাবে?
- একটু কাছে আসোনা নীলাভ্র।
- কাছেই তো আছি।আরো কত কাছে চাও?
নীলাম্বরী আমাকে শক্ত করে ধরে বলল,যত কাছে আসলে আর দূরে মনে হবেনা।
- ওরে পাগলী। আমিতো তোমার অনেক কাছে আছি।এই দেখো তোমার নীলাভ্র তোমার বুকে মাথা রেখে আছে।
- আর
.jpg)
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up
কোন মন্তব্য নেই।