[Love Story ] একটি বৃষ্টিভেজা রাত (season 2) পর্ব ৪
লেখক: SMsudipBD About 2020s ago |
#Neer_Nilavro
নীলাম্বরী অনেক্ষণ শক্ত করে জড়িয়ে রাখল আমায়।আমিও তাই করলাম।মনে হচ্ছে যেন অনন্তকাল ধরে এভাবে থাকলেও এর স্বাদ কখনো পুরনো হবেনা।পৃথিবীতে ভালোবাসা এমন ই এক সুখানুভূতি!
একটু পর নীলাম্বরী মুখ তুলে তাকালো।আমি খেয়াল করে দেখলাম ওর চেহারায় বেশ লজ্জা লজ্জা ভাব এসে গেছে।কেমন যেন গোলাপি আভা এসেছে।ও মিষ্টি করে হেসে বলল,তোমার শরীর টা খুব শক্ত।
- তাই নাকি! লোহার শরীর।
- হ্যা তাই।ধরে একটু ও আরাম পাওয়া যায়না।
আমি ওর কথা শুনে শব্দ করে হেসে উঠলাম।এ আবার কেমন কথা!
ওকে বললাম, তাহলে সফট করা যাবে কিভাবে শুনি?
- পিটিয়ে সফট বানাতে হবে।
- তা বটে।তোমার যা ঘুষি রে বাবাহ! ওই হাতের দুই কেজি ওজনের একটা ঘুষি খেলেই আমার শরীর বিড়ালের মত তুলতুলে হয়ে যাবে।
কথাটা বলামাত্রই নীলাম্বরী জোরে একটা ঘুসি বসিয়ে দিলো আমার পেটে।আমি পেট চেপে ধরে কাতরাতে লাগলাম।হাত বটে মেয়েটার!
ও আমার পেটে হাত রেখে বলল,বাহ! এক ঘুষিতেই সফট হয়ে গেছে দেখছি।
আমি হাসতে হাসতে ওকে একটু কাছে টেনে নিয়ে বললাম, তোমার ছোঁয়ায় সব ঠিক হয়ে যাবে।
- উহু,ছাড়ো দুষ্টুটা..
আমি ওকে ছেড়ে দিয়ে বিছানায় গড়িয়ে পড়লাম। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে খুব জোরে।নীলাম্বরী এসে আমার বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।জীবনে প্রথম বার কোনো মেয়ে এভাবে আমার বুকে মাথা রাখলো।আমার খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে।ওকে দুহাতে জড়িয়ে ধরলাম শক্ত করে।
নীলাম্বরী বলল,আমরা কিন্তু সুন্দর একটা বাসা নিবো।বাসায় কিন্তু ছাদ থাকতে হবে,বারান্দাও থাকতে হবে।
- থাকবে গো থাকবে।
- তুমি আমি বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখবো আর ছাদে বসে চাঁদ দেখবো।
- আমার বুকের উপর চাঁদ শুয়ে থাকতে বাইরের চাঁদ দেখতে হবে বুঝি?
- ইস! আমি বুঝি চাঁদ?
- হুম নীলাম্বরী। তুমিই আমার চাঁদ।
- আর তুমি আমার পৃথিবী।
কথাটা বলেই নীলাম্বরী আমাকে শক্ত করে ধরলো।আমিও ওকে শক্ত করে ধরলাম। ওর নিঃশ্বাস পড়ছে আমার গলায়।
নীলাম্বরী বলল,দুজনে মিলে ছোট্ট একটা সুন্দর সংসার সাজাবো কিন্তু।
- অবশ্যই।একটা ই বালিশ থাকবে দুজনের।
- হ্যা,আর তুমি হবে আমার বালিশ।
আমি বললাম,হুম।আর আমার কোলবালিশ টা কি করবো?
- ওটা ফেলে দিয়ে আসবে।
- কেন?
- আমিই তখন তোমার কোলবালিশ হয়ে যাব তাই ওটা ফেলে দিয়ে আসবো।
- না না।ছোট বেলা থেকেই কোলবালিশ আমার সাথি। ওটা ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।
নীলাম্বরী রেগে বলল,আমি যখন থাকবো তখন ও তোমার কোলবালিশ লাগবে?
- হ্যা লাগবে।
- না, আমি এলে কোলবালিশ ফেলে দিবা।
আমিও ঝগড়া শুরু করে দিলাম।কিছুতেই কোলবালিশ ফেলে দেয়া যাবেনা।ওটা এত বছর আমার সাথী হয়ে ছিল।তাকে কিভাবে ফেলে দেই?
নীলাম্বরী বলল,এত বছর আমি ছিলাম না।তাই কোলবালিশ লাগতো। এখন তো আমি আছি।এখন আর কোলবালিশ দিয়ে কি হবে?
- বারে।ও আমার কত একা রাতের প্রিয়তমা। ওকে জড়িয়ে কত রাত ঘুমিয়েছি।ওকে কত আদর করেছি।
নীলাম্বরী হেসে বলল,আদর করেছো?
- হ্যা।কত্ত আদর দিয়েছি ওকে।
- কিভাবে? বালিশ কে বুঝি আদর করা যায়?
- যায়না আবার? ব্যাচেলর দের তো বালিশ ই বউ।ওকে আদর করেই, জড়িয়ে ধরেই আমরা রাত কাটাই।
নীলাম্বরী হাসতে হাসতে উঠে বসল বিছানায়।তারপর বলল,কিভাবে করো? একটু বলোনা শুনি?
আমিও উঠে বসলাম ওর সামনে।বললাম,অনেক কিছুই করি।তোমাকে বলা যাবেনা।
- আমি তোমার নীলাম্বরী। আমাকে বলা যাবেনা?
- নাহ।এটা লজ্জার ব্যাপার।
নীলাম্বরী অভিমান করে বলল,আমাকে বলা যাবেনা? ছি ছি তারমানে কি কি যেন করো বালিশের সাথে! বাবাহ কি আজব কথাবার্তা!
- তুমি জানোনা ব্যাচেলার দের কোলবালিশ হচ্ছে প্রিয় বস্তু।
- আমি জানতেও চাইনা।তোমার কোলবালিশ হচ্ছে আমার সতীন।ওকে আমি সহ্য করতে পারছি না।
আমি হেসে বললা,সতীন?
- হ্যা।ও আমার সতীন।ওকে আমার সহ্য হচ্ছেনা।তুমি আর কখনো ই কোলবালিশের কথা আমায় বলবে না।আর ওকে আমি তাড়াবোই।
[IMG]https://smsudipbd.wapkiz.mobi/download/dl4/9c57a0fd0bbb0123857ef58479c02ec0/smsudipbd+wapkiz+mobi/2-(smsudipbd.wapkiz.mobi).jpg[/IMG]
আমি ওকে রাগানোর জন্য বললাম, একদম না।আমি ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো।
- আর আমি?
- তুমি আমাকে ধরে ঘুমাবা।আর আমি ওকে ধরে ঘুমাবো।
নীলাম্বরী রেগে বলল,না না হবেনা।তুমি আমার চেয়ে ওকে ই বেশি ভালোবাসো তাইনা? বুঝেছি বুঝেছি। স্বার্থপর, বাজে ছেলে।
- যাও যাও,তোমাকে আমার লাগবে না।আমার বালিশ ই ভালো।
- দেখো এরকম করলে কিন্তু ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি।
- করলে কি করবা শুনি? তোমার ঘুষি কে আমি ভয় পাইনা।
- আমি তোমার মুখ বন্ধ করে দিবো।
- কিভাবে?
প্রশ্নটা করার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই নীলাম্বরী ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার ঠোট দুটো নিজের ঠোটের ভিতরে নিলো।এই ঘটনায় আমি একদম অবাক! এত সুন্দর করে ভালোবাসলে কি আর ঝগড়া করা যায়? ওর মাথাটা ধরে আমিও পাল্টা চুমু খেতে লাগলাম।
.
অনেক্ষণ পর ছেড়ে দিলাম ওকে।ও বলল,এবার বলো তোমার কোলবালিশ এভাবে তোমাকে চুমু খেতে পারবে?
- না।হার স্বীকার করতেই হলো।
নীলাম্বরী আমার শার্টের কলার টেনে ধরে বলল,মাইন্ড ইট।
- ওকে ওকে।মাফ চাই মহারাণী।
ও একটু দূরে সরে বসল।তারপর ঘড়ি দেখে বলল,রাত নয়টা বাজে।এখনো বৃষ্টি থামলো না।ওই ম্যানেজার বোধহয় আর আসবে না।
- না এলেই ভাল।আমার তো এভাবেই ভালো লাগছে।বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে।সেই ঝড়ের রাতের মতন তাইনা?
- হুম।আমার খুব ভিজতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু আজ তো এক্সট্রা জামাকাপড় নেই।ভেজা যাবেনা।
আমি বললাম,তাহলে জামাকাপড় খুলে ভিজি চলো।
নীলাম্বরী চোখ রাঙাল।মুখ টিপে হাসছে।খুব ক্ষেপেছে দেখছি!
আমি ওর একটু কাছে এসে বসলাম।আমার বুকের ধুকপুকানি টা বেড়ে চরমে পৌছে গেছে।ও বলল,কি দেখছো এভাবে?
- জনম জনম দেখলেও এ দেখার শেষ হিবেনা নীলা।
- তাই নাকি! আমাকে কবে নিজের করে নিবা আগে সেইটা বলো।
আমি অপলক ভাবে চেয়ে আছি ওর দিকে।ও লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নিলো।
.
এমন সময় দরজায় কে যেন ধাক্কা দিলো।কয়েকবার ধাক্কা দেয়ার পর দরজা খুলে দিলাম।ম্যানেজার সাহেব এসেছেন।উনি জিজ্ঞেস করলেন,কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা?
আমি বললাম, এই ঝড়ের মধ্যে এসেছেন কেন? অযথা কষ্ট করে।
- আপনাদের প্রতি একটা দায়িত্ব তো অবশ্যই আছে।এই নিন খাবার এনেছি।
আমি অত্যন্ত খুশি হয়ে খাবারের প্লেট টা হাতে নিলাম।উনি বললেন, এর বেশি কিছু ব্যবস্থা করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
- ব্যাপার না ভাই।অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব খিদে পেয়েছিল আমাদের।
- এর জন্য আপনাদের টাকা দিতে হবেনা।কিন্তু গেস্ট হাউজে থাকা
.jpg)
Tag: othersdiscusionlife storyall poemsharelove storylife storywapkiz codetutorial tag codetutorial tag code
পোস্টটি কেমন লেগেছে তা জানাতে একদম ভুলবেন না !
মন্তব্য 0 টি আছে।
Need Login or Sing Up
কোন মন্তব্য নেই।